ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজালেথের মৃত্যু নিয়ে একদিকে শোকের আবহ। অন্যদিকে সোশাল মিডিয়ায় ব্রিটেন রাজ পরিবারের কাছে ভারত-সহ যে সব দেশের মূল্যবান সম্পদ রয়েছে সেগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জোরদার হয়েছে। নেটিজেনরা বলছেন, ভারত-সহ যে সব দেশে উপনিবেশ ছিল সেই সব দেশ থেকে ইংরেজরা অনেক জিনিস নিজেদের দেশে নিয়ে চলে এসেছিল। তার মধ্যে অন্য়তম ভারতের ভারতের কোহিনুর হিরে (kohinoor Diamond)। এই হিরে নিয়ে এখন জোর আলোচনা চলছে।
কোহিনুর নিয়ে নেটিজেনরা বলছেন, ১৯৫০ সালে এটি রানি ভিক্টোরিয়ার কাছে হস্তান্তর করা হয়। যেটি এখনও রাজকীয় মুকুটে রয়েছে। মুকুটটি টাওয়ার অফ লন্ডনে রাখা। নেটিজেনরা বলছেন, কোহিনুর শুধু নয়। এমন অনেক অমূল্য জিনিস রয়েছে, যেগুলো ব্রিটিশরা বিভিন্ন দেশ থেকে চুরি করেছিল। ভারত ছাড়াও গ্রিস, মিশর এবং আফ্রিকান দেশগুলির মানুষও তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র ফেরত দেওয়ার দাবি তুলছে।
টিপু সুলতানের আংটি : টিপু সুলতানের আংটি সম্পর্কে বলা হয়, ব্রিটিশ সেনাবাহিনী যুদ্ধে টিপু সুলতানকে পরাজিত করার পর তাঁর শরীর থেকে এই আংটিটি চুরি করে। ব্রিটেনে একটি নিলামের সময় আংটিটি বিক্রি হয় বলেও দাবি করা হয় বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে। তবে কে কিনেছেন তা কখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন : জিনট্যাক-সহ অম্বলের আর কী কী ওষুধ খাওয়া যাবে না?
এলগিন মার্বেল : মিডিয়া রিপোর্ট এবং ইতিহাসে লিপিবদ্ধ তথ্য অনুসারে, ১৮০৩ সালে লর্ড এলগিন গ্রিসের ঐতিহাসিক প্রাচীর থেকে পার্থেনন পাথরগুলি সরিয়ে লন্ডনে পাঠিয়েছিলেন। এরপর এই পাথরগুলিকে এলগিন মার্বেলও বলা হয়। গ্রিস ১৯২৫ সাল থেকে ইংল্যান্ডের কাছে এই মূল্যবান পাথর ফেরত চেয়ে আসছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই পাথরগুলি ইংল্যান্ডে যাদুঘরে রাখা হয়েছে।
রোসেটা স্টোন : বর্তমানে রোসেটা স্টোনও ব্রিটিশ মিউজিয়ামে রাখা। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, অনেক মিশরীয় প্রত্নতাত্ত্বিক দাবি করেন, এই পাথরটি ব্রিটেন চুরি করেছে। পাথরগুলি ১৯৬ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের। ঐতিহাসিকদের মতে, ১৮০০ সালে ফ্রান্সের সঙ্গে যুদ্ধে জয়লাভের পর ব্রিটেন এই পাথর লুট করে নেয়।
আরও পড়ুন : পুজোর আগেই রাজ্যের কর্মীদের DA পাওয়ার সম্ভাবনা কতটা?
গ্রেট স্টার অফ আফ্রিকা ডায়মন্ড : ব্রিটিশদের দখলে থাকা সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসগুলির মধ্যে একটি হল গ্রেট স্টার অফ আফ্রিকা ডায়মন্ড। এটিকে বলা হয় বিশ্বের দীর্ঘতম হীরা যা ৫৩০ ক্যারেটের। বর্তমান সময়ে এর খরচ প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কথিত আছে যে ১৯০৫ সালে, এটি আফ্রিকার একটি খনি থেকে পাওয়া যায়। যা রাজা এডওয়ার্ড সপ্তমকে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
সোশাল মিডিয়ার নেটিজেনরা কী বলছেন? একজন যেমন লিখেছেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি হিরে। ১০৯ ক্যারেটের এই হিরেটি বর্তমানে ব্রিটিশ ক্রাউনের প্রধান হীরা। ব্যবহারকারী আরও বলেছেন, এই হিরেটি ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সালের মধ্যে ব্রিটিশরা লুট করে।