একটা আস্ত মিষ্টি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মুখে ঢুকিয়ে দিলেন অধীর চৌধুরী। সেই মিষ্টি মুখে নিয়ে কিছু ক্ষণ থমকে গিয়ে থতমত দশা হল খাড়্গের। কিন্তু পর ক্ষণেই দেখা গেল প্লেট থেকে মিষ্টি নিয়ে বাকিদের খাওয়াতে। পাশেই বসেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মুখেই প্রথম মিষ্টি তুলে দিলেন খাড়গে। লোকসভায় বিরোধীজদের জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিকদেরও দেখা গেল মিষ্টিমুখ করতে। সংসদে বিরোধীদের কক্ষে এ ভাবেই উৎসবের মেজাজে মাতলেন বিরোধীরা।
সুরাত আদালতের নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেওয়ার পর অবশেষে রাহুল লোকসভার সদস্য পদ ফিরিয়ে দিয়েছেন স্পিকার ওম বিড়লা।
মোদী পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে সুরতের আদালত রাহুলকে ২ বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের ২৬ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর লোকসভার সদস্য পদ খারিজ করে দিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার। অথচ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট রাহুলকে স্বস্তি দেওয়ার পর লোকসভা সচিবালয়ের সেই তৎপরতা দেখা যায়নি। সেই কারণে বিরোধীরা সমষ্টিগত ভাবে স্পিকারের উপর চাপ তৈরি করেছিলেন। এমনকী কংগ্রেস ফের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার বার্তা দিচ্ছিল। সেই পরিস্থিতিতে সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়ে দেন যে, রাহুলের লোকসভার সদস্য পদ ফেরানো হচ্ছে।
২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে কর্নাটকে প্রচারে গিয়ে মোদী পদবি নিয়ে মন্তব্যের জন্য গত ২৩ মার্চ রাহুলকে দু’বছরের করাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছিল সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। তারই ভিত্তিতে ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮(১) ধারা অনুযায়ী, কোনও অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাংসদ-বিধায়কের দু’বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হলে তৎক্ষণাৎ সাংসদ বা বিধায়ক পদ চলে যায়। রাহুলকে ওই মেয়াদের সাজা দেওয়ার ফলে শুধু সাংসদ পদ হারানো নয়, ছ’বছরের জন্য রাহুলের ভোটে লড়াও নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। পরে সুরাত আদালতের রায় বহাল রেখেছিল সুরাত দায়রা আদালত এবং গুজরাত হাই কোর্টও। কিন্তু শুক্রবারের সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে ২০২৪ সালে রাহুলের ভোটে লড়ার পথেও বাধা দূর হয়। যেকারণেই কংগ্রেসে চলছে খুশির মেজাজ।