পুনের আদালতে সাভারকর-মানহানি সংক্রান্ত মামলায় নয়া মোড়! প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করে আর্জি করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। বুধবার বিকেলে সেই খবর প্রকাশিত হয় bangla.aajtak.in-সহ তামাম সাংবাদমাধ্যমে। কিন্তু, সন্ধেয় কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হল, রাহুল গান্ধীর অনুমতি না নিয়েই তাঁর আইনজীবী ওই আবেদনপত্র পেশ করেছিলেন।
কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের ইনচার্জ সুপ্রিয়া শ্রীনেত দাবি করেন, এই লিখিত বয়ান রাহুল গান্ধীর আইনজীবী তাঁর সঙ্গে কথা না বলেই আদালতে দাখিল করেছিলেন। তিনি যোগ করেন,'ওই আবেদনের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত নন রাহুল গান্ধী। আগামিকাল আদালত থেকে ওই বয়ান প্রত্যাহার করবেন তাঁর আইনজীবী'। সেই সঙ্গে রাহুলের আইনজীবী মিলিন্দ দত্তাত্রেয় পাওয়ারের একটি বিবৃতিও জুড়ে দিয়েছেন সুপ্রিয়া।
রাহুলের আইনজীবী প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছেন,'আমার মক্কেলের অনুমতি ব্যতিরেকে ১৩ অগাস্ট, ২০২৫-এ একটি আর্জি দাখিল করেছি আদালতে। এর বিষয়বস্তুর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন রাহুল গান্ধী। এবং সেটি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামিকাল আদালতে আনুষ্ঠানিক আবেদন করে ওই আর্জিটি প্রত্যাহার করব'।
আদালতে ঠিক কী জানিয়েছিলেন রাহুলের আইনজীবী?
বিনায়ক দামোদর সাভারকরকে নিয়ে একটি মানহানির মামলায় রাহুলের আইনজীবী মিলিন্দ পাওয়ার দাবি করেন, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত রাহুল গান্ধী। মামলাকারী সাত্যকি সাভারকর নাথুরাম গডসের পরিবারের লোক। তাঁর রক্তের মধ্যেই হিংসা এবং অসাংবিধানিক আচরণের প্রবণতা রয়েছে। মিলিন্দের বক্তব্য,'সাত্যকি সাভারকর নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি নাথুরাম গডসে এবং গোপাল গডসের উত্তরসূরী। এই জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর হত্যার মূল অভিযুক্ত। ওই হত্যা ক্ষণিকের আবেগের বহিঃপ্রকাশ ছিল না। বরং বিশেষ মতাদর্শ অনুপ্রাণিত হয়ে ষড়যন্ত্র করে নিরস্ত্র ব্যক্তিকে মারা হয়েছিল। ফলে রাহুল গান্ধীরও যে ক্ষতি করা হতে পারে তা স্পষ্ট এবং যুক্তিযুক্ত। মামলাকারীর বংশে হিংসার ইতিহাস রয়েছে'। যোগ করেন, ভোটচুরি নিয়ে রাহুল গান্ধী সরব হওয়ায় ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে হুমকি পাচ্ছেন। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রভনীত সিং বিট্টু তাঁকে 'দেশের নম্বর ওয়ান সন্ত্রাসবাদী' বলেছেন।