Maharashtra election 2024 Rahul Gandhi: ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্কের জন্ম দিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি অভিযোগ করেন, ২০২৪ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে "ম্যাচ-ফিক্সিং" হয়েছে এবং বিজেপি একটি সংবদ্ধ ও পরিকল্পিত পদ্ধতিতে ভোটের ফল প্রভাবিত করেছে।
রাহুল গান্ধীর ৫ অভিযোগ
১. নির্বাচন কমিশনের সদস্য নির্বাচনের প্যানেলকে প্রভাবিত করা।
২. ভোটার তালিকায় জাল বা ভুয়ো ভোটারের নাম যুক্ত করা।
৩. ভোটার উপস্থিতির হার কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেখানো
৪. যেসব কেন্দ্রে বিজেপির জেতার দরকার, সেগুলিতে ভুয়ো ভোট দেওয়ানো।
৫. সমস্ত প্রমাণ লুকিয়ে রাখা।
তিনি দাবি করেন, নির্বাচন কমিশন যেন প্রতিটি কেন্দ্রের সংযুক্ত ভোটার তালিকা ও বিকেল ৫টার পরের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে স্বচ্ছতা প্রমাণ করে। তবে নির্বাচন কমিশন (ECI) এই অভিযোগগুলোকে “সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন” ও “অযৌক্তিক” বলে খারিজ করেছে। কমিশন জানায়, প্রতিটি ভোটগ্রহণের প্রক্রিয়া সরকারি কর্মচারী ও রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়।
ECI-র বক্তব্য অনুযায়ী:
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ শুধু ভোটকর্মীদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করে না, বরং লক্ষ লক্ষ স্বচ্ছভাবে কাজ করা নির্বাচনকর্মী ও দলের প্রতিনিধিদের মনোবল দুর্বল করে।
রাহুল গান্ধীর পাল্টা জবাব:
“সত্য না বললে বিশ্বাসযোগ্যতা ফিরে আসবে না। এড়িয়ে গেলে চলবে না।” — এই মন্তব্য করে তিনি কমিশনের জবাবদিহির দাবি তোলেন।
রাহুল গান্ধীর প্রতিবেদন: “ম্যাচ-ফিক্সিং মহারাষ্ট্র” শীর্ষক নিবন্ধে তিনি এই সমস্ত অভিযোগ তুলেছেন। নির্বাচন প্রতিটি পয়েন্টে কমিশনের পরিষ্কারভাবে উত্তর দিয়ে অভিযোগ খণ্ডন করে। কংগ্রেসের অবস্থান: সিসিটিভি ফুটেজ ও ভোটার তালিকা প্রকাশ না করা পর্যন্ত কমিশনের স্বচ্ছতা প্রশ্নের মুখে থাকবে।