পাকিস্তানে ঢুকে পহেলগাঁও হামলার যোগ্য জবাব দিল ভারত। মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তানে এয়ার স্ট্রাইক করেছে ভারতীয় সেনা। রাফাল যুদ্ধবিমান থেকে মিসাইল ছু়ড়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানের মাটিতে থাকা ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। ঘটনায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ জন জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আহত হয়েছে অসংখ্য। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছে 'অপারেশন সিঁদুর'। আর ভারতীয় সেনার এই অপারেশন নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাহুল গান্ধী।
বুধবার সকালে এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করে লোকসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, 'প্রাউড অফ ইউ আর্মড ফোর্সেস'। অর্থাৎ ভারতীয় সেনার জন্য তিনি যে গর্ববোধ করছেন, তা এভাবেই ব্যক্ত করেছেন রাহুল গান্ধী। সঙ্গে লিখেছেন, 'জয় হিন্দ'।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বিস্ফোরক অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন, তিন দিন আগেই ইন্টালিজেন্স মারফত পহেলগাঁও হামলার খবর পেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। সমালোচনা করেছিলেন BJP নেতা-মন্ত্রীরা। পহেলগাঁও হামলা নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্যও সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছিল কংগ্রেস। এই মর্মে একটি চিঠিও দিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ।
প্রসঙ্গত,পহেলগাঁও হামলার পর কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, এই হামলার বদলা হিসেবে ভারত সরকার যা কিছু পদক্ষেপ করবে তাতে সম্পূর্ণ সায় থাকবে কংগ্রেসের।
সূত্রের খবর, এই হামলায় রাফাল যুদ্ধবিমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ক্যাল্প ক্রুজ মিসাইল এবং হ্যামার প্রিসিশন-গাইডেড গোলাবারুদ দিয়ে সজ্জিত রাফাল হামলা চালায় জঙ্গিঘাঁটিগুলোতে। সূত্রের আরও দাবি, ভারতীয় আকাশসীমার মধ্যে থেকেই এই হামলা চালানো হয়। রাফাল লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌসেনা ও বায়ুসেনা একত্রিতভাবে এই অভিযান চালায়। পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই পাকিস্তানে সক্রিয় হয়ে যায় ভারতীয় গোয়েন্দারা। সেখান থেকে তথ্য আসতে শুরু করে। জঙ্গিদের গতিবিধি পর্যালোচনা করা হয়। তারপরই কোথায় কোথায় হামলা করা হবে তার পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো হামলা চালানো হয়। রাত ১.৩০টার দিকে এই অভিযান চালানো হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিমান হামলার উদ্দেশ্য জঙ্গিদের জবাব দেওয়া। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধের কোনও উদ্দেশ্য ভারতের নেই।