বাজেটে মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিতে বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। করমুক্ত আয়ের সীমা ৭ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ লক্ষ টাকা করেছেন। বিজেপি এবং শরিক নেতারা এই ঘোষণার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁরা বলেছেন, এটা জনহিতের বাজেট। প্রত্যাশিতভাবেই উল্টো সুর বিরোধী নেতাদের।
কেন্দ্রের শাসক দলকে নিশানা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে কটাক্ষ করেছেন,'গুলির ক্ষতস্থানে দেওয়া হয়েছে ব্যান্ড-এইড'। তিনি লিখেছেন,'বিশ্বজুড়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে আমাদের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আমূল বদল দরকার ছিল। কিন্তু এই সরকার নীতিপঙ্গুত্বে ভুগছে'।
অন্ধ্রপ্রদেশকে বঞ্চিত করার অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য,'নরেন্দ্র মোদী সরকার এনডিএ-র শরিক নীতীশ কুমারের বিহারকে পুরস্কার। আর জোটের অন্য স্তম্ভ অন্ধ্রপ্রদেশ নিষ্ঠুর বঞ্চনার শিকার'। মৌলিক বিষয়গুলিতে বাজেটে নজর দেওয়া হয়নি বলেও মনে করে রাহুল গান্ধীর দল। তাদের মতে, 'মানুষের বেতন ও বিক্রিবাটা বাড়েনি, বেসরকারি বিনিয়োগের অভাব এবং জটিল জিএসটি ব্যবস্থার মতো অসুখের কোনও সমাধানই নেই বাজেটে। এর ফলে অর্থনীতির গতি শ্লথ হয়েছে। খালি স্বস্তি দেওয়া হয়েছে আয়করদাতাদের'।
বাজেটের সমালোচনা করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, 'অর্থমন্ত্রী ৪টি ইঞ্জিনের কথা বলেছেন: কৃষি, এমএসএমই, বিনিয়োগ এবং রফতানি। এত বেশি ইঞ্জিন যে বাজেট সম্পূর্ণভাবে লাইনচ্যুত হয়ে গিয়েছে। মনে হচ্ছে, বাজেটে বিহারের জন্য ঘোষণার ভাণ্ডার। এটা স্বাভাবিক কারণ বছরের শেষে সে রাজ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু কেন এনডিএ-র দ্বিতীয় স্তম্ভ, অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশকে এমন নির্মমভাবে উপেক্ষা করা হল?'
মহাকুম্ভে মৃতের সংখ্যা বাজেটের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ: সমাজবাদী পার্টি
ওদিকে, বাজেট সমালোচনায় মহাকুম্ভের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার কথা তুলেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব। তিনি বলেন, 'বাজেট নয়, মহাকুম্ভে মৃতের সংখ্যা জানাই বেশি দরকার। কতজন মারা গিয়েছেন সেই সংখ্যাই বলতে পারছেন না। এদের বাজেট পরিসংখ্যান কি আদৌ বিশ্বাসযোগ্য?
আরজেডি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব বলেন,'আগের বাজেটের অনুলিপি এই বাজেট। এটা গ্রামবিরোধী এবং গরিব-বিরোধী বাজেট। বিহার কিছুই পায়নি। বিহারকে কিছু দিতে চায় না মোদী সরকারও। বিহারের বিশেষ প্যাকেজের টাকা কোথায় গেল? চন্দ্রবাবু নাইডু ২ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ নিয়ে চলে গেলেন। আর নীতীশ কুমার বিহারের জন্য কিছুই আনতে পারলেন না। ঘুমোচ্ছেন উনি।'