জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে বিল আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তাঁরা আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে এনিয়ে বিল আনার অনুরোধ জানিয়েছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'গত পাঁচ বছর ধরে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে দাবি করে আসছে। এই দাবি বৈধ এবং তাঁদের সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকারের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে জড়িত।'
কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, 'এটা স্বীকার করা গুরুত্বপূর্ণ যে অতীতে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্বাধীন ভারতে জম্মু ও কাশ্মীরের ক্ষেত্রে এর কোনও নজির নেই। দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনও পূর্ণাঙ্গ রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নামিয়ে আনা হয়েছে। আপনি নিজেও একাধিকবার ব্যক্তিগতভাবে রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৯ মে ভুবনেশ্বরে আপনার সাক্ষাৎকারে আপনি বলেছিলেন, রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো আমাদের একটি প্রতিশ্রুতি এবং আমরা এর প্রতি অটল। আবার, ১৯ সেপ্টেম্বর শ্রীনগরে এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আপনি পুনরায় বলেছেন, আমরা সংসদে বলেছি যে আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করব। এছাড়াও, সুপ্রিম কোর্টের সামনে ৩৭০ ধারার বিরোধিতায় একই রকম আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বলা হয়েছিল যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে।'
চিঠিতে লেখা হয়েছে, 'উপরের এবং পূর্বে উল্লিখিত বিষয়গুলির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সরকারকে সংসদের আসন্ন বর্ষাকালীন অধিবেশনে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার জন্য একটি বিল আনার জন্য অনুরোধ করছি। এছাড়াও, আমরা সরকারকে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলের আওতায় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিল আনার জন্য অনুরোধ করছি। লাদাখের জনগণের সাংস্কৃতিক, উন্নয়নমূলক এবং রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা পূরণের দিকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে, একই সঙ্গে তাঁদের অধিকার, ভূমি এবং পরিচয় রক্ষা করবে।'
২০১৯ সালের অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ, দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠন করা হয়। ৩৭০ ধারার বিধান বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। এই সিদ্ধান্তের পর জম্মু ও কাশ্মীর তার বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা হারায় এবং এটি কেন্দ্রের অধীনে আসে।