পহেলগাঁও হামলার পর থেকেই জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযান কোমর বেঁধে শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। একাধিক এলাকাজুড়ে চলছে চিরুনি তল্লাশি। কাশ্মীরের ১০টি জায়গায় চলছে তল্লাশি অভিযান। যার মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, বারামুলা, কুপওয়ারা। যদিও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে কাশ্মীরের আইজি ভিকে বিরডি বলেছেন, সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর জঙ্গি দমনে বিশেষ কৌশল নিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। বাড়ানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান।
পহেলগাঁও হামলার পরও কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াইয়ের খবর পাওয়া গিয়েছে। গত মঙ্গলবার শোপিয়ানে এনকাউন্টার হয়। বৃহস্পতিবার পুলওয়ামার ত্রালেও গুলির লড়াই চলে। দুই ঘটনায় মোট ছয় জঙ্গিকে খতম করে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও এক কাশ্মীরির মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠে গোটা দেশ। তার পরই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক স্তরে একাধিক পদক্ষেপ করে ভারত। জঙ্গি হামলার বদলা নেওয়ার দাবি ওঠে গোটা দেশে। গত ৭ মে মধ্যরাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ও পাকিস্তানের ৯টি জায়গায় জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে অপারেশন সিঁদুর। ভারতের এই অভিযানে পর্যদুস্ত হয় পাকিস্তান। তার পরই সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের একাধিক শহরকে নিশানা করে হামলা চালানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু ইসলামাবাদের সব চক্রান্ত বানচাল করে মোক্ষম জবাব দেয় ভারত। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন যে, ভারত ও পাক সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। তার পর পরই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়, পাকিস্তানের আবেদনে সাড়া দিয়ে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছে ভারত।
জাতীর উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের কার্যকলাপের উপর সর্বদা নজর রাখা হবে। নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেল ভারত সহ্য করবে না। পাশাপাশি, মোদী এ-ও জানিয়েছেন, পাকিস্তান আলোচনার টেবিলে এলে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়েই কথা বলতে হবে।