
অভিশপ্ত বালেশ্বর দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি জানিয়েছেন, এই দুর্ঘটনায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট জমা পড়েছে। বেশ কিছু নামও সামনে এসেছে। তবে সেই সব নাম এখন বলা হচ্ছে না। সেই নামগুলি বললেই সাম্প্রদায়িক বলে তোলপাড় শুরু হয়ে যাবে।
সংসদে তিনি বলেন, 'বালেশ্বরে একটা অত্যন্ত দুঃখজনক দুর্ঘটনা হয়েছিল। তদন্তও হয়েছে। তার রিপোর্টও জমা পড়ে গিয়েছে। ফাইল হয়েছে চার্জশিটও। সেখানে উঠে এসেছে একাধিক নাম। তবে তাদের নাম এখানে আমি বলতে চাই না। সেটা বললেই আমার বন্ধুরা সাম্প্রদায়িক বলে উঠবেন।'
অর্থাৎ বার্তা স্পষ্ট। এই দুর্ঘটনার পিছনে কোনও সম্প্রদায়ের দিকেই আঙুল তুললেন রেলমন্ত্রী। কিন্তু সরাসরি অভিযোগকারীদের নাম বললেন না। বরং এড়িয়ে গেলেন।
কী হয়েছিল বালেশ্বর?
২০২৩ সালের ২ জুন এক বিভৎস রেল দুর্ঘটনা ঘটে বালেশ্বরে। সেই দুর্ঘটনায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস একটি মালগাড়িতে গিয়ে ধাক্কা মারে। ঘটনাটি ঘটে বালাসোরের বাহানাগা স্টেশনে। এখানেই শেষ নয়, ধাক্কার কারণে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কিছু কোচ পাশের লাইনে পড়ে যায়। সেই কোচের সঙ্গে আবার ধাক্কা লাগে হাওড়া-যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের সঙ্গে। আর সেই দুর্ঘটনায় প্রায় ১২০০ যাত্রী আহত হন। প্রাণ হারান ২৯৬ জন।
আর এই দুর্ঘটনার পর আলোড়িত হয় গোটা ভারত। রেলের সুরক্ষার দিকে আঙুল উঠতে শুরু করে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগও দাবি করেন অনেকে।
এই পরিস্থিতিতে নড়েচড় বসে রেল মন্ত্রকও। তাদের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই দুর্ঘটনার তদন্তে নামে সিবিআই-ও।
প্রথম থেকেই দুর্ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে বলে বুঝিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেই কথাটা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল রেলমন্ত্রীর কথায়। তিনি জানিয়ে দিলেন যে, এই ঘটনার তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। দেওয়া হয়েছে চার্জশিটও। সেখানে একাধিক নাম উঠে এসেছে। তবে সেই সব নামগুলি এমন যে তা সংসদে উঠলেই সাম্প্রদায়িক বলা হবে। তাই আপাতত সেই সব নাম সংসদে তুলতে চাইলেন না রেলমন্ত্রী বলেই জানালেন তিনি।