অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ‘ব্রহ্মস’। শক্তিশালী এই সুপারসনিক মিসাইলের আঘাতে ছারখার হয়ে গিয়েছিল জঙ্গিদের একের পর এক ঘাঁটি। এবার সেই ব্রহ্মসের প্রথম ব্যাচ ডেলিভারি করা হল উত্তরপ্রদেশ থেকে। লখনউয়ের সরোজিনী নগরে অবস্থিত ব্রহ্মস অ্যারোস্পেস ইউনিট থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের উপস্থিতিতে ডেলিভারি হল ব্রহ্মসের ফার্স্ট ব্যাচ। আর সেই অনুষ্ঠান থেকেই পাকিস্তানকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বললেন, 'পাক ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি ব্রহ্মসের আওতার মধ্যে রয়েছে।'
শনিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেন,'দেশ আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের প্রতিপক্ষরা আর কোনওভাবেই ব্রহ্মসের গ্রাস থেকে পালাতে পারবে না। পাকিস্তানের ভূখণ্ডের প্রতিটি ইঞ্চি এখন আমাদের ব্রহ্মসের নাগালের মধ্যে আছে। অপারেশন সিঁদুর কেবলমাত্র একটি ট্রেলার। অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন ভারতের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্রহ্মসের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। এই জয় আমাদের কাছে নিছক একটি ঘটনাই নয় বরং এটি এখন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এটা কেবলমাত্র ট্রেলার, কিন্তু সেই ট্রেলারই পাকিস্তানকে বুঝিয়ে দিয়েছে, যদি ভারত পাকিস্তানকে জন্ম দিতে পারে, তাহলে এর বেশি কিছু বলার প্রয়োজন নেই যে ভারত আর কী করতে সক্ষম।'
ব্রহ্মস মিসাইল
ভারতের ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ব্রহ্মস নাস্তানাবুদ করেছিল ইসলামাবাদকে। পাকিস্তানের সামরিক ঘাঁটিতেও ব্রহ্মস তাণ্ডব চালিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রহ্মস মিসাইল ভারতীয় সামরিক বাহিনীর অন্যতম প্রধান পছন্দের অস্ত্র, যা একেবারে নিখুঁতভাবে লক্ষ্যে আঘাত করতে সক্ষম। প্রথম পর্যায়ে বছরে প্রায় একশো মিসাইল তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের কারখানায়। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, অপারেশন সিঁদুরও প্রমাণ করেছে ভারত এখন বিদেশি প্রযুক্তির উপর নির্ভর না করেও জটিল সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম।