Raksha Bandhan 2023 Date: ৩০ না ৩১ অগাস্ট, রাখি উত্সব কবে? রইল শুভ মুহূর্ত
চলতি মাসেই রাখিবন্ধন। হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয় রাখি। ভাই এবং বোনের মধ্যে সম্পর্কের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বোনের সুরক্ষার জন্য যে পবিত্র সুতো বাঁধা হয় তাকে রাখি বলে। শ্রাবণ শুক্লা পূর্ণিমায় এই পবিত্র উৎসব পালিত হয়। এইদিনে বোনেরা তাদের ভাইদের কব্জিতে রক্ষা সূত্র বেঁধে তাদের সারা জীবন রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এবার রক্ষা বন্ধন উৎসব পালিত হবে ৩০ ও ৩১ আগস্ট দুই দিন। ভাদ্র হওয়ায় ৩০ আগস্ট রাত বা ৩১ আগস্ট সকালে উদযাপন করা উপযুক্ত হবে।
- চলতি মাসেই রাখিবন্ধন।
- হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয় রাখি।
- ভাই এবং বোনের মধ্যে সম্পর্কের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
চলতি মাসেই রাখিবন্ধন। হিন্দু ধর্মে একটি বিশেষ উৎসব হিসেবে পালিত হয় রাখি। ভাই এবং বোনের মধ্যে সম্পর্কের প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বোনের সুরক্ষার জন্য যে পবিত্র সুতো বাঁধা হয় তাকে রাখি বলে। শ্রাবণ শুক্লা পূর্ণিমায় এই পবিত্র উৎসব পালিত হয়। এইদিনে বোনেরা তাদের ভাইদের কব্জিতে রক্ষা সূত্র বেঁধে তাদের সারা জীবন রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এবার রক্ষা বন্ধন উৎসব পালিত হবে ৩০ ও ৩১ আগস্ট দুই দিন। ভাদ্র হওয়ায় ৩০ আগস্ট রাত বা ৩১ আগস্ট সকালে উদযাপন করা উপযুক্ত হবে।
রক্ষা বন্ধন শুভ মুহুর্ত (রক্ষা বন্ধন 2023 শুভ মুহুর্ত) ভাদ্র সময়কাল ৩০ আগস্ট পূর্ণিমা তিথিতে শুরু হবে। ভাদ্র মাসে শ্রাবণী উৎসব পালন করা শাস্ত্রে নিষিদ্ধ বলে বিবেচিত হয়েছে। ৩০ আগস্ট ভাদ্র কাল ০৯.০২ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই সময়ের পরেই রাখি বাঁধা বেশি উপযুক্ত হবে। রাখী বাঁধার জন্য বিকেলের সময়টি শুভ। এমন পরিস্থিতিতে ৩০ আগস্ট ভাদ্র কালের কারণে, রাখি বাঁধার শুভ সময় সকাল হবে না। সেদিন রাতেই রাখি বাঁধার শুভ সময়। ৩১ আগস্ট শ্রাবণ পূর্ণিমা সকাল ০৭.০৫ টা পর্যন্ত, এই সময়ে ভাদ্রের কোন ছায়া নেই। তাই খুব ভোরে ভাইকে রাখি বাঁধতে পারেন।
রাখির দিন পুজোর বিধি
রাখির দিন ভাই ও বোনেরা প্রথমে ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান ইত্যাদি করে, পরিষ্কার কাপড় পরিধান করে এবং সূর্যদেবকে জল অর্পণ করবে। তারপর বাড়ির মন্দিরে বা পাশের মন্দিরে গিয়ে প্রার্থনা করবে। ভগবানের পুজার পর রাখি বাঁধার উপকরণ সংগ্রহ করুন। এর পরে, প্রধানত রূপা, পিতল, তামা বা ইস্পাতের যে কোনও পরিষ্কার প্লেট নিন এবং তার উপর একটি সুন্দর পরিষ্কার কাপড় বিছিয়ে দিন। সেই থালায় একটি কলস, নারকেল, সুপারি, কলভ, রোলি, চন্দন, অক্ষত, দই, রাখি এবং মিষ্টি রাখুন। উপকরণগুলো ঠিকমতো রাখার পর একটা ঘি বাতিও রাখুন। প্রথমে এই থালা বাড়িতে বা মন্দিরে ঈশ্বরকে উৎসর্গ করুন।
আরও পড়ুন
প্রথমে ভগবান কৃষ্ণকে একটি রাখি এবং একটি ভগবান গণেশকে নিবেদন করুন। ভগবানকে রাখি অর্পণ করার পর এবং উপরে উল্লিখিত শুভ সময় দেখে আপনার ভাইকে পূর্ব বা উত্তর দিকে মুখ করে বসিয়ে দিন। এর পরে ভাইকে তিলক লাগান, তারপর রাখি অর্থাৎ রক্ষা সূত্র বাঁধুন এবং তারপরে তাঁর আরতি করুন। এর পর আপনার ভাইয়ের মুখ মিষ্টি দিয়ে দিন। রাখি বাঁধার সময় মনে রাখবেন ভাই-বোন উভয়ের মাথা যেন কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। রক্ষা সূত্র বাঁধার পর বাবা-মা বা বাড়ির বড়দের আশীর্বাদ নিন।
রক্ষা বন্ধনের দিনে এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন (রক্ষা বন্ধনের করণীয় এবং করণীয়)
1. রক্ষা বন্ধনের দিনে ভাইদের রাখি বাঁধার সময়, শুভ সময়ের বিশেষ যত্ন নিন।
২. রাখি বাঁধার সময় মনে রাখবেন ভাই বা বোন যেন দক্ষিণ দিকে মুখ না করে। দক্ষিণ দিককে যমের অর্থাৎ মৃত্যুর দিক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এই দিকে কাজ করলে আয়ু কম হয়।
৩. রাখির দিন ভাইকে তিলক লাগাতে চন্দন বা রোলি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই সময়ে সিঁদুর ব্যবহার করবেন না কারণ সিঁদুরকে মধুচন্দ্রিমার লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৪. রাখির আগে ভাইদের পুজো করার সময় মনে রাখবেন অক্ষতের দানা যেন ভেঙে না যায়।
৫. ভাইয়ের আরতি করার সময় একটা কথা মাথায় রাখবেন আরতির থালায় রাখা প্রদীপ যেন ভেঙে না যায়।