অযোধ্যা থেকে রওনা দিল 'রাম জ্যোতি', রাজস্থানের ৫১ হাজার মন্দিরে পৌঁছে যাবে। শুধু তাই নয়, এই 'রাম জ্যোতি'র মাধ্যমে রাজস্থানে রাবণ দহনও করা হবে। একইভাবে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও 'রাম জ্যোতি' পাঠানো হবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠা হওয়ার আগেই দেশজুড়ে রাম জ্যোতির প্রসার ঘটানো হবে।
এই রাম জ্যোতি শ্রী রাম জন্মভূমি মন্দিরের শিখা থেকে প্রজ্জ্বলিত হয়েছে। জ্যোতির 'প্রথম ব্যাচ' রাজস্থান থেকে অযোধ্যা রওনা দিয়েছে। এই 'রাম জ্যোতি' রাজস্থানের ৫১ হাজার মন্দিরে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিটি মন্দিরে ১০৮ পরিবারকে সেই গুরুদায়িত্ব দেওয়া হবে।দুর্গোৎসব পর্যন্ত 'রাম জ্যোতি' অক্ষত রাখা হবে। ১০৮টি প্রদীপ জ্বালাতে হবে।
'রাম জ্যোতি' কর্মসূচির বিষয়ে জগদীশ পাঁচারিয়া বলেন, আমরা চাই দীপাবলি উপলক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে অযোধ্যার রাম মন্দিরের 'রাম জ্যোতি' প্রজ্জ্বলিত হোক। রাজস্থানের ৫১ হাজার মন্দিরের মাধ্যমে আমরা এই আলো ঘরে ঘরে পৌঁছে দেব। রথযাত্রার মাধ্যমে এই আলো পৌঁছে দেওয়া হবে।
জয়পুর শহরে এই ধরনের ৩৫১টি কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এখানে স্থানীয়রা তাদের কাছাকাছির মন্দির থেকে প্রত্যেক বাড়িতে আলো পৌঁছে দেবেন। প্রতিটি ঘরে ভগবান শ্রী রামের অনন্ত শিখা পৌঁছে দেওয়াই এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।
পঞ্চরিয়ার মতে, ২৩ অক্টোবর 'রাম জ্যোতি' রাজস্থানে পৌঁছাবে। ২৪ অক্টোবর দশেরার দিন এই 'রাম জ্যোতি' দিয়ে রাবণ দহন করা হবে।
পাশাপাশি, হিতেশ মাথুর (জাতীয় আহ্বায়ক, রাম জ্যোতি যাত্রা) জানিয়েছেন, অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে রাম জ্যোতি' জ্বালানো হয়েছে। একটি রথের মাধ্যমে এটি রাজস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। দীপাবলি ১০টি গাড়ির মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। ২৩ অক্টোবর জয়পুর পৌঁছবে। শ্রীরাম মন্দির, আদর্শ নগরে মহা আরতি হবে ।