একেই বলে মিরাকল! আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২৪২ জন সওয়ারির মধ্যে একমাত্র তিনিই প্রাণে বেঁচে ফিরেছেন। তাঁর নাম রমেশ বিশ্বাসকুমার বুচারভাদা। কথায় আছে, রাখে হরি মারে কে! ঠিক এই প্রবাদ বাক্যই যেন সত্যি হয়েছে বৃহস্পতিবার বিমান দুর্ঘটনায়। কীভাবে বেঁচে গেলেন রমেশ বিশ্বাসকুমার? টেক অফের পর এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ঠিক কী ঘটেছিল? হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে সেই রোমহর্ষক ঘটনার কথাই শোনালেন রমেশ।
ডিডি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রমেশ বলেছেন, 'চোখের সামনেই সবটা হয়েছে। কীভাবে বেঁচে ফিরলাম, নিজেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। কিছু সময়ের জন্য মনে হয়েছিল, আমিও হয়তো মরে যাব। তারপরে চোখ খুলে দেখি, আমি বেঁচে আছি। সিট বেল্ট খুলে তারপরে বেরোনোর চেষ্টা করি।'
টেক অফের পর পরই আহমেদাবাদের মেঘানিনগরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। টেক অফের পর ঠিক ঘটেছিল? রমেশ বলেছেন, 'টেক অফের পর হঠাৎ ৫-১০ সেকেন্ড মনে হল যেন সব থেমে গেল। তারপরে লাইট জ্বলে যায়। তারপরই ভেঙে পড়ে।' রমেশের কথায়, 'দরজা ভাঙা ছিল, তারপরে বেরোনোর চেষ্টা করি।জানি না, কীভাবে বেঁচে গেলাম।আগুনে আমার বাঁ হাত জ্বলে গিয়েছে।'
শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। হাসপাতালে গিয়ে রমেশের সঙ্গে দেখাও করেন মোদী। রমেশের সঙ্গে কথা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। কী বললেন মোদী? রমেশ জানিয়েছেন, 'স্যার জিজ্ঞেস করেছিলেন, কীভাবে হল, জানতে চাইলেন, সেটা বললাম ওঁকে।'
এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে আহমেদাবাদে। গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি-সহ মোট ২৪২ জন ছিলেন বিমানে। রমেশ বাদে বাকি সকলেরই মৃত্যু হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থলে যান মোদী। মৃতদের পরিজনদের ১ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে টাটা।