
Delhi Blast Case Update: ১০ নভেম্বর ২০২৫-এ দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশের নিরাপত্তা মহলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। এই ঘটনার তদন্তে বড় সাফল্য পেয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা। গ্রেফতার করা হয়েছে কাশ্মীরের সাম্বোরা, পাম্পোর এলাকার বাসিন্দা আমির রশিদ আলিকে। বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি তাঁর নামেই নথিভুক্ত ছিল। দিল্লিতে ব্যাপক তল্লাশির পর তাঁকে আটক করে তদন্তকারীরা।
তদন্তে জানা গিয়েছে, আমির রশিদ আলি আত্মঘাতী হামলাকারী উমর উন নাবির ঘনিষ্ঠ সহযোগী। দু’জনে মিলেই বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র তৈরি করেছিল। গাড়ি কেনা থেকে হামলার পরিকল্পনা, সবকিছুতেই যুক্ত ছিল আমির। পরে সেই গাড়িতেই বিস্ফোরক ভরে চালানো হয় হামলা।
উমর উন নবিকে ফরেনসিক পরীক্ষায় মৃতদেহ শনাক্ত করে আত্মঘাতী চালক হিসেবে নিশ্চিত করা হয়েছে। পেশায় চিকিৎসক এবং ফরিদাবাদের আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক উমরের জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকা সকলকে বিস্মিত করেছে। তাঁর আর একটি গাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে তদন্তকারীরা। পাশাপাশি অন্তত ৭৩ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এনআইএ, যার মধ্যে বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিরাও রয়েছেন।
এই বিস্ফোরণে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে। প্রথমে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হলেও পরে দশ জনের মৃত্যুর কথা প্রকাশ্যে আসে। বহু মানুষ আহত হন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।
এনআইএ জানিয়েছে, তদন্ত এখন বহু রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। দিল্লি, জম্মু-কাশ্মীর, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশসহ একাধিক রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ে তদন্ত চলছে। এই বিস্ফোরণের নেপথ্যে যে বড়সড় জঙ্গি নেটওয়ার্ক রয়েছে, তার ইঙ্গিতও মিলছে তদন্তে। শিক্ষিত পেশাজীবীদের নিয়ে গঠিত একটি তথাকথিত ‘উচ্চশিক্ষিত জঙ্গি চক্র’-এর সংশ্লিষ্টতা সন্দেহ করা হচ্ছে।
উমর উন নাবির পালওয়ামার বাড়ি ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে ভেঙে ফেলা হয়েছে। বিস্ফোরণের পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় অভিযান, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রমাণ সংগ্রহ চলছে। তদন্তকারীদের দাবি, এই হামলার পেছনে কারা কারা যুক্ত, পুরো নেটওয়ার্ক উদঘাটনে তাঁরা দ্রুত এগোচ্ছে।