ধীরে ধীরে সত্যি হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি। রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমাল ভারতের বেসরকারি সংস্থা Reliance Industries। তার বদলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে সংস্থা। গত সপ্তাহেই ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল এই সব দেশগুলি থেকে কেনা হয়েছে বলে একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে। আর রিলায়েন্স এই পদক্ষেপ তখন নিল, যখন রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধের জন্য ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে আমেরিকা।
ব্লুমবার্গের এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ভারতের সংস্থা Reliance তেল কেনা বাড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে। রাশিয়ার বিকল্প হিসাবে তারা এই দেশগুলি থেকে এখন তেল কিনছে। আর সংস্থার এই নতুন নীতিতে ভারত সহ গোটা বিশ্বের তেলের মার্কেটেই প্রভাব পড়তে পারে। এমনকী ভূ-রাজনৈতিক নানা ক্ষেত্রে আসতে পারে বদল। এমনকী ভারত ও আমেরিকা আবার কাছাকাছি আসতে পারে। বদলে যেতে পারে অনেক সমীকরণ বলে দাবি আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের।
২.৫ মিলিয়ান ব্যারেল তেল কেনা হয়েছে
এতদিন সস্তায় রাশিয়া থেকে তেল কিনত ভারত। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প নানাভাবে এই আমদানি বন্ধ করতে চেয়েছেন। আর তাতেই কিছুটা হলেও ভারত সাড়া দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ, ইতিমধ্যেই ভারতের অন্যতম বড় সংস্থা রাশিয়ার বিকল্প হিসাবে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল কিনছে। সেখান থেকে মাত্র ১ সপ্তাহেই ২.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল কেনা হয়েছে বলে খবর। আর এই সমস্ত তেল কেনা হয়েছে ইরাকের বসরা মিডিয়াম, অল শহিন এবং কাতার ল্যান্ড থেকে।
এখানেই শেষ নয়, একাধিক রিপোর্ট জানাচ্ছে, রাশিয়ার মতো গুণগত মানের তেল খুঁজে চলছে রিলায়েন্স। সেই মতো একাধিক তেলের খনির সঙ্গে কথা চলছে।
ভারতের উপর প্রেশার রয়েছে
ভারত যে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কিনবে না, সেটা নিয়ে বারবার দাবি করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সেই দাবি তিনি এখনও করছেন। তিনি সম্প্রতি জানিয়েছেন, মোদীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাতে নাকি মোদী রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমাবে বলেছে।
আসলে রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এখন ভারতীয় পণ্যের উপর মোট ৫০ শুল্ক নিচ্ছে আমেরিকা। আর রাশিয়ার তেল কিনতে থাকলে এই ট্যারিফ আরও বাড়তে পারে বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
আর এমন পরিস্থিতিতেই রিলায়েন্স রাশিয়া থেকে তেল কেনা কমাল। যার ফলে আদতে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও শান্ত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।