ভারত আজ ২৬ জানুয়ারি ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করছে। প্রথমবারের মতো প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে কর্তব্য পথে কুচকাওয়াজ হবে। আগে এই স্থানটি রাজপথ নামে পরিচিত ছিল। এই কুচকাওয়াজে দেখা যাবে 'নিউ ইন্ডিয়া'র এক ঝলক। সেই সাথে থাকবে দেশীয় সামরিক শক্তি ও নারী শক্তির প্রদর্শনী। রাজ্যগুলির সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যও দেখা যাবে। এর সাথে বিমান বাহিনীর ৫০টি বিমান তাদের শক্তি প্রদর্শন করবে। কর্তব্য পথ থেকে জাতিকে নেতৃত্ব দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি থাকবেন মিশরের রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আকাশ কাঁপিয়ে কেরামতি দেখাল রাফাল যুদ্ধবিমান
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আকাশে কেরামতি দেখাল বায়ুসেনার জাগুয়ার বিমান। ত্রিশূল ফর্মেশনে চক্কর কাটল সুখোই যুদ্ধবিমান
এবারই প্রথম কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছে অগ্নিবীরেরা। অংশ নিচ্ছে কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ, আধা সেনা, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও এবারই প্রথম অংশ নিচ্ছে কুচকাওয়াজে।
কলকাতায় রেড রোডে শুরু হয়েছে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ। সেখানে রয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা।
দিল্লির কর্তব্য পথে বাংলার ট্যাবলো। বাংলার ট্যাবলোর থিম দুর্গাপুজো।
২ বছর পর দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের রাজপথে ফিরল বাংলার ট্যাবলো। এবার প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে বাংলার থিম 'নারী শক্তি'।
কলকাতায় ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন। রেড রোডে পতাকা উত্তোলন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের ট্যাবলো। রেড রোড-সহ কলকাতাজুড়ে কড়া নিরাপত্তা। বুধবার রাত ১০টা থেকেই রেড রোডে যান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ-সহ গাড়ি পার্কিংয়েও কড়াকড়ি করা হয়েছে।
কলকাতার রেড রোডে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার ৭৪তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করছে দেশ। কুচকাওয়াজ দেখার জন্য বিভিন্ন আয়োজন করা হয়েছে।
ক্যাপ্টেন রায়জাদা শৌর্য বালি ৬১ অশ্বারোহী বাহিনীর ইউনিফর্মে প্রথম দলটির নেতৃত্ব দেন। ৬১ অশ্বারোহী বিশ্বের একমাত্র সক্রিয় মাউন্টেড অশ্বারোহী রেজিমেন্ট।
রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু কর্তব্য পথের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রধান অতিথি মিশরের রাষ্ট্রপতিও রয়েছেন সেখানে। অভিভাবদন গ্রহণ করছেন রাষ্ট্রপতি।
এ বার প্রজাতন্ত্র দিবসে কর্তব্য পথ ইতিহাস হয়ে গেল। দেশে প্রথমবারের মতো কুচকাওয়াজের স্যালুট নিলেন আদিবাসী মহিলা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। ঐতিহ্য অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং ২১ বন্দুকের স্যালুট সহ জাতীয় সঙ্গীত। প্রথমবারের মতো, ১০৫ মিমি ভারতীয় ফিল্ডগান থেকে ২১-বন্দুকের স্যালুট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। এই ফিল্ড বন্দুকগুলি পুরানো ২৫ পাউন্ডার বন্দুকের পরিবর্তে প্রতিরক্ষা খাতে ক্রমবর্ধমান 'আত্মনির্ভরতা' প্রতিফলিত করে। ১০৫ হেলিকপ্টার ইউনিটের চারটি Mi-17 1V/V5 হেলিকপ্টার ডিউটিতে থাকা দর্শকদের উপর ফুল বর্ষণ করছে।
কুচকাওয়াজ শুরু হবে ১০.৩০ মিনিটে। এটি প্রায় ৯০ মিনিট স্থায়ী হবে। প্রথমবারের মতো কর্তব্য পথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার কুচকাওয়াজে অংশ নেবেন ৪৫ হাজার মানুষ। প্রায় ১২ হাজার পাস বিতরণ করা হয়েছে এবং প্রায় ৩২ হাজার অনলাইন টিকিট করা হয়েছে। বসার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করা হয়েছে। উল্লম্ব প্ল্যাটফর্মে চেয়ার স্থাপন করা হয়েছে, যাতে পিছনে বসে থাকা লোকেরাও কুচকাওয়াজ দেখতে পারে। করোনার আগে, প্রায় ১.২৫ লক্ষ মানুষ প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতেন। কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়া সেনাবাহিনীর সব অস্ত্রই দেশীয় রাখা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির স্যালুট গ্রহণের মধ্য দিয়ে কুচকাওয়াজ শুরু হবে। ঐতিহ্য অনুযায়ী, জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং ২১ বন্দুকের স্যালুট সহ জাতীয় সঙ্গীত।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ শুরু হবে সকাল ১০.৩০ মিনিটে। এতে সামরিক শক্তি ও দেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের এক অনন্য মিশ্রণ দেখা যাবে। যা দেশের ক্রমবর্ধমান আদিবাসী সক্ষমতা, নারী শক্তি এবং 'নতুন ভারত'-এর আভাস দেখাবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ শুরু হবে। এখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। এরপর, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কুচকাওয়াজ দেখার জন্য কর্তব্য পথে স্যালুটিং প্ল্যাটফর্মের দিকে অগ্রসর হবেন।
এই প্রথমবার হবে যখন ভিভিআইপিরা প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ দেখতে প্রথম লাইনে থাকবেন না। এবার প্রথম সারিতে বসবেন রিকশাচালক, ফুটপাথের দোকানদার, কর্তব্য পথ তৈরির শ্রমিক ও তাদের স্বজনরা। ভারত সরকার তাদের শ্রমজীবী নাম দিয়েছে। এর আগে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের প্রথম সারি সবসময় ভিভিআইপিদের জন্য সংরক্ষিত থাকলেও এবার প্রথম সারিতে কর্মীদের জায়গা দেওয়া হবে।