২,০০০ টাকার নোটের ৯৭.৩৮ শতাংশই ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে ফিরে এসেছে। ১ জানুয়ারি এমনটাই জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩-এর হিসাব অনুযায়ী, বাজারে এই ২,০০০ টাকার নোটের মোট মূল্য ৯,৩৩০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। তুলনাস্বরূপ ১৯ মে, ২০২৩-এ, যখন এই নোট বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন এটি ছিল ৩.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা। এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছে RBI।
কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ক্লিন নোট নীতির অংশ হিসাবে বেশি-মূল্যের ব্যাঙ্কনোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা করা হয়।
০৭ অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত দেশের সমস্ত ব্যাঙ্কের শাখায় ২,০০০ টাকার নোট জমা এবং/অথবা বিনিময় করা যাচ্ছিল। এর পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ১৯টি ইস্যু অফিসেও এক্সচেঞ্জের পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে, আরবিআই-এর ইস্যু অফিসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার জন্য ২,০০০ টাকার নোট জমা নেওয়া শুরু হয়।
শুধু তাই নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশের যেকোনো পোস্ট অফিসে ইন্ডিয়া পোস্টের মাধ্যমে ২,০০০ টাকার নোট তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা করার সুবিধাওয়া দেওয়া হয়।
সেই সময়ে প্রচলিত ৫০০ এবং ১,০০০ টাকার নোটের আইনি দরপত্র প্রত্যাহার করার পরে RBI ২০১৬ সালের নভেম্বরে অর্থনীতির মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা মেটাতে ২,০০০ টাকার নোট চালু করেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নভেম্বরে কেন্দ্রীয় সরকার ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের পরেই টাকার চাহিদা মেটাতে ২,০০০ টাকার নোট চালু করে। কিন্তু এই ২,০০০ টাকার নোট যে দীর্ঘমেয়াদে থাকবে না, তার আভাস আগেই দেওয়া হয়েছিল।
অন্যান্য অঙ্কের নোট বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আসা পর্যন্তই অপেক্ষা করে আরবিআই। এরপরেই পূর্ব পরিকল্পনার ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত। উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ সালেই ২,০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।