আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতা চিকিৎসকের মা-বাবাকে নতুন করে আবেদন করতে বলল সুপ্রিম কোর্ট । প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না পরামর্শ দিলেন, এমনভাবে আবেদন করুন যাতে তার অপব্যবহার না হয়। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, এই আবেদন অনিচ্ছাকৃতভাবে অভিযুক্তকে সহযোগিতা করতে পারে।
আরজি কর তদন্ত নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে মামলা করেছিলেন নির্যাতিতার মা-বাবা। বুধবার সেই শুনানিতে নির্যাতিতার মা-বাবার উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি জানান,'এই মামলায় রায়দানের কথা মাথায় রেখে নতুন করে আবেদন করুন। সেটা একই আর্জি হলেও। আপনার বয়ান এবং মতামতের একটা দাম রয়েছে। তা বিতর্কেরও যোগ্য'।
প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, আপনারা আদালতে যা বলবেন, তার অভিঘাত রয়েছে। তাঁর পরামর্শ, এমনভাবে আবেদনপত্র তৈরি করুন, যাতে কোনও অপব্যবহার না হয়।
আদালতে সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার মেহতা জানান,এই আবেদন অনিচ্ছাকৃতভাবে অভিযুক্তকে সাহায্য করতে পারে।সিবিআই তদন্ত নিয়েও নির্যাতিতার মা-বাবা যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার সাপেক্ষে তুষার মেহতা বলেন,'আবেদনপত্রে যে সব প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তা নিয়ে আগেই জবাব দেওয়া হয়েছে। এখন ফের আলোচনা হলে অভিযুক্তের সুবিধে হতে পারে'।
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী জানান, শিয়ালদা আদালতে দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা দেওয়ার আগেই আবেদনপত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় যা প্রশ্ন যুক্তিযুক্ত, তা-ই লেখা হয়। এরপরই প্রধান বিচারপতি নির্যাতিতার পরিবারকে অভিযোগগুলি হলফনামা আকারে জমা দিতে নির্দেশ দেন।
শুনানির শুরুতেই নির্যাতিতার পরিবারের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি জানান,'আবেদন করার পর সাজা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এটা প্রত্যাহার করে নতুন করে আবেদন জমা করবেন?' নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দী বলেন,'এই মামলায় কয়েকজন যুক্ত রয়েছেন, যাঁরা উচ্চ পদে আসীন। এই ব্যক্তিদের একটা ভূমিকা রয়েছে। সেটাই তুলে ধরেছি'।
বলে রাখি, আরজি কর-কাণ্ডে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছে শিয়ালদা আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যে নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।