
ভারত সফরে আসছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজই দিল্লিতে পা রাখবেন তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেনের সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এটিই তাঁর প্রথম ভারত সফর। দু'দিনের ভারত সফরে পুতিন ২৩তম বার্ষিক ভারত-রাশিয়া শীর্ষ সম্মেলনেও যোগ দেবেন।
পুতিনের ভারত সফরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ক্রেমলিন থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত কৌশলগত অংশীদারিত্বের' জন্য প্রেসিডেন্টের ভারত সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই সফরের ঠিক আগে, রাশিয়া ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়ার পার্লামেন্ট (ডুমা) ভারতের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি, রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিকস সাপোর্ট (RELOS) অনুমোদন করেছে। এই চুক্তিটি উভয় দেশের জন্য, বিশেষ করে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
এই চুক্তিটি একটি লক্ষণ যে রাষ্ট্রপতি পুতিন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পুতিনের ভারত সফর কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
২০২২ সালে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথমবারের মতো ভারত সফর করছেন। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের জন্য আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলি রাশিয়ার উপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ট্রাম্প ভারত এবং চিনের মতো রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যকারী দেশগুলিকেও লক্ষ্য করেছেন।
ভারতের রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল ক্রয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রাম্প ভারতের উপর অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক আরোপ করেছেন, যার ফলে মোট শুল্ক ৫০% বৃদ্ধি পেয়েছে। ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা হ্রাস করার জন্য ভারতকে চাপ দিচ্ছেন। এই সময়ে পুতিনের ভারত সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।