S Jaishankar on Canada: কানাডা যেভাবে ভারতের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে যে আক্রমণাত্মক মনোভাব দেখিয়েছে তা একেবারেই মেনে নেওয়া হয়নি। শনিবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনটাই বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই কানাডা ভারতকে খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জারের হত্যায় জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে। এই নিয়ে দু'দেশের সম্পর্ক আরও তিক্ত হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শনিবার পুনেতে এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
জয়শঙ্কর জানান, ভারত প্রথম থেকেই কানাডায় অপরাধমূলক কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে একটা সহ্য করে নেওয়ার রীতি-পরিবেশ ছিল। তাই সেগুলি উপেক্ষা করা হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘কানাডা সরকারের উচিত আরও সংযত এবং দায়িত্বশীল আচরণ করা।’
কানাডার ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয় বর্মা এবং অন্যান্য কূটনীতিবিদদের বিরুদ্ধে তদন্তে ‘persons of interest’ হিসেবে উল্লেখ করেছে কানাডা। এই বিষয়ে জয়শঙ্কর কড়া ভাষায় বলেন, 'আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছি... কানাডা আমাদের হাইকমিশনার এবং কূটনীতিবিদদের টার্গেট করেছে।'
ভারত পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে সঞ্জয় বর্মা এবং পাঁচজন কূটনীতিবিদকে ডেকে পাঠিয়েছে। দিল্লি থেকে ছয়জন কানাডিয়ান কূটনীতিবিদকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কানাডার সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ইঙ্গিতকেও ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেছেন জয়শঙ্কর।
তিনি আরও জানান, কানাডার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সেখানে একটি ‘ছোট গোষ্ঠী’ বড় রাজনৈতিক কণ্ঠস্বর পেয়ে গিয়েছে। এটি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্কের জন্যই নয়, বরং কানাডার জন্যও ক্ষতিকর।
ভারতের আন্তর্জাতিক প্রভাব প্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, ভারত কূটনৈতিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে। ভারত একদিকে যেমন মস্কোয় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে পারে, তেমনই ইউক্রেনে গিয়ে জেলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনা করেছে। এগুলি বিশ্বের কাছে ভারতের প্রভাব তুলে ধরেছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভারতের জি২০-র সভাপতিত্বে আফ্রিকান ইউনিয়নকে জি২০ সদস্য হিসেবে স্বাগত জানানো হয়েছে। এটি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জোট গঠনে ভারতের ভূমিকাকে তুলে ধরেছে।