অভিনেতা সইফ আলি খানের ওপরে হামলার ঘটনায় ধৃত শরিফুল শাহজাদ বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ করে পশ্চিমবঙ্গে কিছুদিন ছিল। খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখ এক মহিলার নামে তোলা সিম কার্ড ব্যবহার করত সে। এবার এই খুকুমণির খোঁজেই বাংলায় এসেছে মুম্বই পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই খুকুমণিই শরিফুলকে সিম কার্ড দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের কাছ থেকে মুম্বই পুলিশ যে সিম কার্ড উদ্ধার করেছে তা খুকুমণি জাহাঙ্গির শেখের নামে রয়েছে। পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
সইফ আলি খানের ওপর হামলায় অভিযুক্ত শরিফুলকে শুক্রবার বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছিল। তার হেফাজত আরও ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানানো হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত শরিফুলের পুলিশ হেফাজত আগামী ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেন।
১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খানের ওপর হামলা হয়। অভিযুক্ত শরিফুল চুরির উদ্দেশে বাড়িতে প্রবেশ করেছিল। কিন্তু সইফের ছেলে জাহাঙ্গিরের ঘরে পৌঁছতেই তার ন্যানি জোরে চিৎকার করে ওঠেন। জাহাঙ্গিরও কাঁদতে শুরু করেন। ন্যানির চিৎকার শুনে সইফ আসলেই শরিফুলের সঙ্গে তাঁর মারামারি শুরু হয়ে যায়। এ সময় অভিযুক্ত ছুরি দিয়ে অভিনেতাকে ছ'বার আঘাত করে। পাঁচদিন লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়ি ফিরেছেন সইফ। তাকে বিশ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে কী বলেছেন সইফ
অভিনেতা জানিয়েছেন, ১৬ জানুয়ারি রাতে স্ত্রী করিনার সঙ্গে এগারো তলার শোওয়ার ঘরে ছিলেন। হঠাৎ তাঁরা জাহাঙ্গারের ন্যানি ইলিয়ামা ফিলিপের চিৎকার শুনতে পান। এরপর তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছেলের ঘরের দিকে ছোটেন। তিনি ওই ঘরে হামলাকারীকে দেখতে পান। জাহাঙ্গির কাঁদছিল। তিনি হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। এসময় হামলাকারী তাঁর পিঠ, ঘাড়-সহ বিভিন্ন স্থানে ছুরি দিয়ে হামলা চালায়।