Advertisement

Sambhal: সম্ভলের জামা মসজিদ কি হরিহর মন্দির? সমীক্ষক দল পৌঁছতেই পাথর, ধুন্ধুমার

আদালতের নির্দেশের পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন সমীক্ষকরা। আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, 'জামা মসজিদের সমীক্ষার জন্য একটি 'অ্যাডভোকেট কমিশন' গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের মাধ্যমে ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

সম্ভলে সংঘর্ষ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 24 Nov 2024,
  • अपडेटेड 11:23 AM IST
  • সকাল সাড়ে ৭টায় সমীক্ষক দল জামা মসজিদে প্রবেশ করে।
  • আচমকা ভিড় এসে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে।

সম্ভলের জামা মসজিদে সমীক্ষাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও উন্মত্ত জনতার সংঘর্ষ। পুলিশ করে লক্ষ্য করে ছোড়া হল পাথর। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। আদালতের নির্দেশের পর রবিবার দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষা করতে গেলে জনতা নিয়ন্ত্রণ হারায়। 

জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়লে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিওও প্রকাশ্যে এসেছে, পুলিশ এবং এসপিকে হেলমেট পরা অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। ওপাশ থেকে পাথর ছোড়া হচ্ছে। সম্ভলের পরিস্থিতি এখন থমথমে।

সকাল সাড়ে ৭টায় সমীক্ষক দল জামা মসজিদে প্রবেশ করে। আচমকা ভিড় এসে পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু করে। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এসপি কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই এবং জেলাশাসক রাজেন্দ্র পেনসিয়া দায়িত্ব নেন। বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয়।

ঘটনাস্থলে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার উপস্থিত হলে বিক্ষুব্ধ জনতা স্লোগান দিতে শুরু করে। জামা মসজিদের আশপাশে জড়ো হওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে মাইকে ঘোষণাও হয়। এরপর পাথর ছোড়া শুরু করে জনতা।

গত ১৯ নভেম্বর সম্ভল জেলার চান্দৌসির দায়রা আদালতের বিচারক আদিত্য সিংয়ের আদালত জামা মসজিদে সমীক্ষার জন্য অ্যাডভোকেট কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছিল।

আদালতের নির্দেশের পর মঙ্গলবার প্রথমবারের মতো সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন সমীক্ষকরা। আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, 'জামা মসজিদের সমীক্ষার জন্য একটি 'অ্যাডভোকেট কমিশন' গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের মাধ্যমে ভিডিওগ্রাফি ও ফটোগ্রাফি করে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত।

বিষ্ণু জৈন আরও বলেন,“সম্ভলের হরিহর মন্দির আমাদের আস্থার সঙ্গে জড়িত। দশাবতারের মধ্যে কল্কি অবতার এখানেই পূজিত হন। ১৫২৯ খ্রিস্টাব্দে বাবর মন্দিরটি ভেঙে মসজিদে রূপান্তরের চেষ্টা করেন। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বিভাগ ওই এলাকাটিতে সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করেছে। হিন্দু মন্দিরের নানা চিহ্ন রয়েছে ওই মসজিদে'।

Advertisement

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement