সুইৎজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে সম্প্রতি মোহালির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন রিসার্চ (IISER)-এ যোগ দিয়েছিলেন ৩৯ বছরের বিজ্ঞানী ডঃ অভিষেক স্বর্ণকার। তবে নিজের দেশে ফেরার কয়েক মাসের মধ্যেই এক মর্মান্তিক ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি। পার্কিং নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসার জেরে মারধরের শিকার হন অভিষেক। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কী ঘটেছিল সেই রাতে?
মোহালির সেক্টর ৬৭-তে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অভিষেক স্বর্ণকার। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাতে তাঁর প্রতিবেশী মন্টির সঙ্গে বাইক পার্কিং নিয়ে বচসা বাঁধে। তর্কাতর্কির মধ্যেই অভিযুক্ত মন্টি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন এবং একাধিকবার আঘাত করেন। আশপাশের মানুষ বিষয়টি থামানোর চেষ্টা করলেও ততক্ষণে অভিষেক গুরুতর আহত হয়ে পড়েন।
সিসিটিভিতে ধরা পড়েছে মারধরের দৃশ্য
ঘটনার পর পুলিশের হাতে আসে সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে দেখা গেছে, বাইক পার্কিং নিয়ে দুইজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং পরে অভিষেককে মারধর করা হয়। তাঁর পরিবার ইতিমধ্যে মন্টির বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের করেছে এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
অসুস্থ অবস্থায় সহ্য করতে পারেননি আঘাত
জন্মসূত্রে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদের বাসিন্দা অভিষেক স্বর্ণকার ছিলেন একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী। তাঁর একাধিক গবেষণা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তাঁর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছিল—বোন তাঁকে একটি কিডনি দান করেছিলেন। ডায়ালিসিস চলায় শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন তিনি। পুলিশের ধারণা, মারধরের আঘাত সহ্য করতে না পারার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের দাবি, কঠোর শাস্তি চাই
এই আকস্মিক মৃত্যুতে অভিষেকের পরিবার এবং সহকর্মীরা শোকস্তব্ধ। তাঁর পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত মন্টির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটে। পুলিশ ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।