বড়সড় স্বস্তি গৌতম আদানির। তাঁর গ্রুপের বিরুদ্ধে মার্কেটে তছরুপ এবং অ্যাকাউন্টে প্রতারণার অভিযোগ এনেছিল মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ (Hindenburg)। সেই অভিযোগ খারিজ করে দিল ভারতের স্টক মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি (SEBI)।
SEBI র তরফে জানানো হয়েছে, হিন্ডেনবার্গ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে স্টকে কারসাজি এবং অভ্যন্তরীণ লেনদেন সহ গুরুতর অভিযোগ করেছিল। তার তদন্তও হয়েছে। কিন্তু কোনও অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি। সেই কারণে আদানি গ্রুপকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে অভিযোগ করা হয়, আদানি গ্রুপ কোম্পানিগুলির শেয়ারের মূল্যস্ফীতি, তহবিলের অপব্যবহার এবং অডিট জালিয়াতি করেছে।
ক্লিনচিট পাওয়ার আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেছেন, এটা আসলে সত্যির জয়। এই নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেন তিনি। লেখেন, 'পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের পর SEBI নিশ্চিত করেছে, হিন্ডেনবার্গের সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন ছিল। স্বচ্ছতা এবং সততা আদানি গ্রুপের বৈশিষ্ট্য। হিন্ডেনবার্গের মিথ্যা অভিযোগের কারণে টাকা খুইয়েছেন এমন বিনিয়োগকারীদের যন্ত্রণা আমরা বুঝি। যাঁরা মিথ্যা অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদেরও ক্ষমা চাওয়া উচিত। আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। ভারতের প্রতিষ্ঠান, ভারতের জনগণ এবং জাতি গঠনের প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট রয়েছে। জয় হিন্দ।'
SEBI-এর এই সিদ্ধান্তের জেরে হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টে উল্লেখিত আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলিও স্বস্তি পেয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে আদানি পাওয়ার লিমিটেড, আদানি পোর্টস অ্যান্ড স্পেশাল ইকোনমিক জোন লিমিটেড এবং অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেড।
কী অভিযোগ ছিল আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে?
হিন্ডেনবার্গ তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, আদানি গ্রুপের কিছু কোম্পানি অ্যাডিকর্প এন্টারপ্রাইজেস প্রাইভেট লিমিটেডের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তরিত করেছে। পরবর্তীতে অ্যাডিকর্প আদানি পাওয়ার লিমিটেডকে অপ্রকাশিত ঋণ প্রদান করেছে। এও অভিযোগ ছিল, আদানি পোর্টস এবং আদানি পাওয়ারের মতো কোম্পানিগুলি ২০২০ সালে অ্যাডিকর্পকে প্রায় ৬২০ কোটি ঋণ দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে অ্যাডিকর্প আদানি পাওয়ারকে প্রায় ৬১০ কোটি টাকার পরোক্ষ ঋণ দেয়। যা নিয়ম বিরুদ্ধ।
তবে SEBI এখন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, লেনদেনে কোনও আর্থিক অনিয়ম হয়নি। হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করেছিল, তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হয়েছিল এবং মিথ্যা বলা হয়েছিল। তবে, SEBI সাফ করে দিয়েছে, এমন কোনও প্রমাণ তাদের হাতে আসেনি।