বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ দ্বিতীয় দিন বিতর্ক হবে। কংগ্রেসের তরফে আলোচনার জন্য রাহুল গান্ধী, রেভান্থ রেড্ডি এবং হিবি ইডেনের নাম দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবে সরকারের পক্ষ তুলে ধরবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। এর পর বিরোধীদের অভিযোগের জবাব দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, হিনা গাবিত, রমেশ বিধুরি। তবে রাহুল গান্ধী কখন আলোচনায় অংশ নেবেন তা নিয়ে সাসপেন্স রয়ে গেছে। আসলে, মঙ্গলবারই কংগ্রেসের তরফে রাহুলের আলোচনা শুরু করার কথা ছিল, কিন্তু কংগ্রেস শেষ মুহূর্তে কৌশল পরিবর্তন করে ও গৌরব গগৈ আলোচনা শুরু করেন।
মোদী সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ
লোকসভায় মোদী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। এমতাবস্থায় বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের যে পতন হবে তা স্পষ্ট। প্রশ্ন উঠেছে, মোদী সরকারের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও কেন বিরোধীরা এই অনাস্থা প্রস্তাব আনছে? আসলে, বিরোধী দলগুলি বিশ্বাস করে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মণিপুর ইস্যুতে হাউসে কোনও উত্তর দিচ্ছেন না, তবে যখন অনাস্থা প্রস্তাব আনা হবে, তখন প্রধানমন্ত্রীকে হাউসে এর জবাব দিতে হবে। এ কারণে হার নিশ্চিত জেনেও সব বিরোধীরা এই অনাস্থা প্রস্তাব আনে।
রাহুল কি আজ বলবেন?
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর বলেছেন যে কংগ্রেসের অনাস্থা প্রস্তাবে বক্তাদের জন্য রাহুল গান্ধী, রেভান্থ রেড্ডি এবং হিবি ইডেনের নাম দেওয়া হয়েছে। তবে তালিকা পরিবর্তন হতে পারে। আজ রাজস্থান সফরে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী। বিকাল ৩টেয় এক জনসভায়ও ভাষণ দেবেন তিনি। মনে করা হচ্ছে রাজস্থান যাওয়ার আগে আলোচনায় অংশ নিতে পারেন রাহুল। লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, 'রাহুল গান্ধী আজ বক্তব্য রাখবেন। তিনি আমাদের পক্ষ থেকে দুপুর ১২টায় বক্তব্য রাখতে শুরু করবেন।' অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে গতকাল লোকসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার ঠিক আগে কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে জানানো হয়েছিল যে সংসদে বক্তব্য রাখবেন রাহুল গান্ধী। আলোচনার সময় সংসদে রাহুল উপস্থিতও ছিলেন। কিন্তু তিনি আলোচনায় অংশ নেননি। যা দেখে বিস্মিত শাসক দলও।
কৌশল বদলে ছিল কংগ্রেস
মনে করা হচ্ছে, শেষ মুহূর্তে গৌরব গগৈকে দিয়ে আলোচনা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কংগ্রেস। আসলে, মঙ্গলবার আলোচনার সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী মোদী। ১০ অগাস্ট কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একই দিনে রাহুল গান্ধীও বক্তব্য রাখতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেস এটিকে একটি সুচিন্তিত কৌশল বলছে, যার মাধ্যমে তারা মোদীর সামনে রাহুলকে তুলে ধরতে চায়। এছাড়াও, গৌরব গগৈ উত্তর-পূর্বের একজন সাংসদ এবং উত্তর-পূর্ব রাজ্য মণিপুরের সহিংসতার বিষয়ে এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে ঘেরাও করতে বেশ তৎপর ছিল কংগ্রেস।