একটা নয়, বুধবার মোট দুটি পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে প্রয়াগরাজে। একটার কথা খবরে এলেও আরেকটা নিয়ে কোনও আলোচনাই নেই। প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে সঙ্গমের নাকের ডগায় প্রথম পদপিষ্টের ঘটনাটি ঘটেছ। তার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ২ কিমি দূরে ঝুসিতে দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রথম দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে সরকার। আহতের সংখ্যা ৬০। যদিও দ্বিতীয় ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু বা আহতের সংখ্যা নিয়ে কোনও কিছুই সরকারি তরফে জানানো হয়নি। জামাকাপড়, জুতোর স্তূপ ইঙ্গিত দিচ্ছে যে এখানেও কোনও ছোট ঘটনা ঘটেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা অবশ্য ঝুসিতে পদদলিত হয়ে একাধিক মৃত্যুর দাবি করেছেন।
চিত্র সাংবাদিক মোহন কানোজিয়া সহ দ্য লালানটপ-এর অভিনব পান্ডের একটি এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট থেকেই পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা সামনে আসছে। এক্সক্লুসিভ ফুটেজে দেখা যাচ্ছে জামাকাপড়, জুতো ও বোতলের স্তূপ ট্রাক্টরে করে সরানো হচ্ছে। সাংবাদিকরা প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন। যারা দাবি করেছেন যে তাঁরা অনেক জনকে পদপিষ্ট হতে দেখেছেন, ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঝুসির এই জায়গাটি গঙ্গার ওপারে এবং সঙ্গমস্থলের কাছে প্রথম দুর্ঘটনার স্থান থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে। প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটেছে রাত দেড়টা নাগাদ। আর ঝুসিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সকাল ৬টা নাগাদ। ঝুসির হলদিরাম কিয়স্কের নেহা ওঝা দ্য লালানটপকে বলেছেন, 'এখানে মৃতদেহ পড়ে ছিল। কেউ তাঁদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেননি। সকালে মারা যাওয়া লোকদের দেহ দুপুর দেড়টার মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ৪ ঘণ্টা পরে একজন মহিলা পুলিশ কনস্টেবল এসেছিলেন। পুলিশ লোকজনকে ওখানে ভিডিও তুলতে যেতে বাধা দিচ্ছে।'
হলদিরাম কিয়স্কের ম্যানেজার দ্য লালানটপকে বলেছেন, 'হলদিরাম কিয়স্কের ভিতরে চারটি মৃতদেহ ছিল, যেগুলি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এখানে ২৪ জনের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। শিশুরা পদপিষ্ট হয়ে মারা যাচ্ছিল। এখানে কেউ ছিল না, কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি। অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখা হচ্ছে।' মেন বাহাদুর সিং নামে এক ব্যক্তি দ্য লালানটপকে বলেছেন, 'কোনও অ্যাম্বুল্যান্স আসার কোনও সুযোগ ছিল না। অ্যাম্বুল্যান্স শুধু গঙ্গার ওপারে যাচ্ছিল।'