Seema Haider Case: সীমা হায়দার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়। উত্তরপ্রদেশ ATS-এর জেরায় সীমা জানিয়েছেন, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক ভারতীয় যুবকের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন তিনি। শুধু তাই নয়। সীমার পরিবারের একাধিক সদস্য পাকিস্তান সেনার সঙ্গে জড়িত। ফলে স্রেফ প্রেমের টানে ভারতে আসার বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন তদন্তকারীরা।
সোমবার সীমা হায়দার ও তাঁর প্রেমিক শচীনকে প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। শচীনের বাবাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আর তাতে একাধিক নতুন তথ্য উঠে আসে। জানা যায়, একাধিক ভারতীয় যুবকের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতেন তিনি। এঁদের মধ্যে বেশিরভাগই দিল্লির বাসিন্দা।
তদন্তকারীরা বলছেন, জেরায় সীমার কথাবার্তায় একাধিক অসংগতি দেখা দিয়েছে। সীমা জানান, তিনি সেভাবে পড়াশোনা করেননি। অথচ তাঁকে যখন এক পাতা ইংরাজি পড়ে শোনাতে বলা হয়, তা তিনি গড়গড় করে পড়ে দেন। শুধু পড়াই নয়. তাঁর উচ্চারণও ছিল তাক লাগানো। আর তাতেই নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে ATS।
সবচেয়ে বড় কথা, দুঁদে অফিসারদের সামনেও বিন্দুমাত্র সংকোচ বা ভয়ের লেশমাত্র ছিল না সীমার। যা প্রশ্ন করা হচ্ছিল, তা সরাসরি, সঙ্গে সঙ্গে জবাব দিচ্ছিলেন। আর তাতেই আরও সন্দেহ বাড়ছে। তবে কি উত্তর আগে থেকই ঠিক করা ছিল? পাকিস্তান থেকেই কি তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে?
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সীমার কাকা এবং ভাই পাকিস্তান সেনায় কাজ করেন। ফলে পাকিস্তান সেনার সঙ্গে তাঁর সম্ভাব্য যোগ আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ISI-এর সঙ্গে সীমার সম্পর্ক আছে কিনা, সেই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তদন্তের পর ATS সম্পূর্ণ রিপোর্ট তৈরি করবে। সেই রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠানো হবে। ফলে সেই তদন্তের রিপোর্টের দিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।
পাবজি খেলতে খেলতে প্রেম। এরপর শচীনের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন সীমা। মার্চে কাঠমান্ডুতে দু'জনে দেখা করেন। নেপালে তাঁরা যে হোটেলে ছিলেন, তার বিষয়েও খোঁজ চালানো হচ্ছে।
সীমার সঙ্গে তাঁর চার ছেলেমেয়ে এসেছে ভারতে। নেপাল হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন তাঁরা। পাঁচজনেরই সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এবং নেপালের পাসপোর্ট মিলেছে। দুই দেশের ইমিগ্রেশনের স্ট্যাম্পও মিলেছে পাসপোর্টে।