সাভারকর নিয়ে আর মন্তব্য করবেন না রাহুল গান্ধী। সূত্রের খবর, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মল্লিকার্জুন খার্গের পরামর্শেই ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাহুল। ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার মধ্যস্থতাকারী হিসাবে পদত্যাগ করেছিলেন। যখন সাভারকার সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মন্তব্য মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ) জোটে ফাটল ধরেছিল। উদ্ধব সেনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে রাহুল গান্ধী সঞ্জয় রাউতকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিনি সাভারকারের উল্লেখ করা এড়াবেন।
সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পর রাহুল শনিবার বলেছিলেন, "আমার নাম সাভারকার নয়, আমার নাম গান্ধী এবং গান্ধী কারও কাছে ক্ষমা চান না"। ওই মন্তব্যে শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বলেছেন, সাভরকর নিয়ে মন্তব্য করা থেকে রাহুলের বিরত থাকা উচিত। সাভারকারকে লক্ষ্য করে রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের প্রতিবাদের চিহ্ন হিসাবে সোমবার কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খার্গের ডাকা বৈঠকে শিবসেনার ঠাকরে গোষ্ঠীও এড়িয়ে গিয়েছিল।
ক্রমবর্ধমান বিভেদের মধ্যে এনসিপি নেতা শারদ পাওয়ার শান্তি স্থাপনকারী হিসাবে পদত্যাগ করেছেন। সূত্রের খবর, সোমবার বিরোধীদের বৈঠকে রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধীকে পরামর্শ দিয়েছিলেন শরদ পাওয়ার। সূত্রে জানা গেছে, রাহুল গান্ধী আশ্বাস দিয়েছেন যে তিনি সাভারকার নিয়ে আর কথা বলবেন না।
সাভারকর নিয়ে রাহুলের মন্তব্যে উদ্ধব ঠাকরে খুশি নন। বালাসাহেব ঠাকরের হাতে গড়া উগ্র হিন্দুত্ববাদী শিবসেনা আরএসএস-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সাভারকরের অনুসারী। মহারাষ্ট্রে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে বিজেপি ভাগ বসানোয় সংগঠন দুর্বল হচ্ছে দেখে উদ্ধবের নেতৃত্বে শিবসেনা বিজেপি-বিরোধী রামধনু জোটের শরিক, কিন্তু সাভারকরের অবমাননায় মুখ বুজে থাকলে ভোট কমতে পারে বলে মনে করছে তারা।
সাংসদ পদ হারানোর পরে সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “আমার পদবি সাভারকর নয় যে আমি ক্ষমা চেয়ে মাথা নত করব। আমি গান্ধী, অন্যায়ের কাছে মাথা নিচু করি না।” তারপরই মহারাষ্ট্রের শিবসেনা (ইউবিটি)-র প্রধান উদ্ধব ঠাকরে রাহুলকে সতর্ক করে বলেছিলেন, এমন মন্তব্য করা উচিত নয় যা অন্য সহযোগীদের আহত করে। প্রতিবাদ জানাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের সোমবারের নৈশভোজ বয়কট করেন উদ্ধব।
আরও পড়ুন-'ক্ষমা না চাইলে FIR করব', রাহুলকে চরম হুঁশিয়ারি সাভারকরের নাতির