Advertisement

Sashi Tharoor India Vs Pakistan: ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের, কেন?

এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা সরকারকে কটাক্ষ করে বলছেন, “রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না, কিন্তু যারা রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের সঙ্গেই কি খেলা যায়?” এই আবহে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও এক ক্রিপ্টিক পোস্ট করেন X-এ (সাবেক টুইটার)।

ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের, কেন?ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে কটাক্ষ কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের, কেন?
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 15 Sep 2025,
  • अपडेटेड 1:44 AM IST

Sashi Tharoor India Vs Pakistan: ডেভিস কাপ ওয়ার্ল্ড গ্রুপ I টাই-এ সুইজারল্যান্ডকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে ভারতীয় টেনিস দল ইতিহাস গড়েছে। শনিবার সুইস টেনিস অ্যারেনা, বিয়েলে শেষ হওয়া এই ম্যাচে ভারত কেবল সুইস দলকেই হারায়নি, বরং ১৯৯৩ সালের পর প্রথমবার কোনও ইউরোপীয় দেশকে তাদের মাটিতে হারানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছে।

এশিয়া কাপ ২০২৫-এ পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ম্যাচ ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ চলছে। ক্রিকেটপ্রেমীরা সরকারকে কটাক্ষ করে বলছেন, “রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না, কিন্তু যারা রক্ত ঝরিয়েছে, তাদের সঙ্গেই কি খেলা যায়?” এই আবহে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও এক ক্রিপ্টিক পোস্ট করেন X-এ (সাবেক টুইটার)। তিনি ভারতীয় টেনিস দলের ঐতিহাসিক জয়ের প্রশংসা করে পরোক্ষে ক্রিকেট দলকে কটাক্ষ করেন।

থারুর লিখেছেন,  “গ্রেট জব, টিম ইন্ডিয়া! (আর আমি ক্রিকেটের কথা বলছি না!) ডেভিস কাপ ওয়ার্ল্ড গ্রুপ I টাই-এ সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩-১ এর ঐতিহাসিক জয়ের খবর দেখলাম। ১৯৯৩ সালের পর এই প্রথম ভারত কোনও ইউরোপীয় দেশকে তাদের মাটিতে হারাল। এবার ২০২৬ কোয়ালিফায়ার্সের দিকে এগিয়ে চলুন!” তার এই পোস্ট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়, যেখানে সমর্থকরা ভারতীয় টেনিস দলের প্রশংসা করেন এবং ভারত–পাকিস্তান এশিয়া কাপ ক্রিকেট ম্যাচ বয়কটের ডাক দেন।

আরও পড়ুন

১৯৯৩ সালে লিয়েন্ডার পেজ ও রমেশ কৃষ্ণনের নেতৃত্বে ভারত ফ্রান্সকে ৩-২ ব্যবধানে হারিয়েছিল। দীর্ঘ ৩২ বছর পর আবার ইউরোপীয় মাটিতে ভারত এই সাফল্য পেল। এর ফলে ভারত ২০২৬ সালের কোয়ালিফায়ার্সে জায়গা করে নিল, আর সুইজারল্যান্ডকে খেলতে হবে ওয়ার্ল্ড গ্রুপ I প্লে-অফে।

প্রথম দিনই ভারত ২-০ লিড পায়। অভিষেক ম্যাচে ধাক্ষিণেশ্বর সুরেশ ৭-৬(৫), ৬-৩ গেমে জেরোম কিমকে হারিয়ে দুর্দান্ত সূচনা করেন। এরপর সুমিত নাগাল ৬-৩, ৭-৬(৪) এ মার্ক-আন্দ্রেয়া হুসলারকে হারান। দ্বিতীয় দিনে সুমিত নাগাল আবার হেনরি বার্নেটকে ৬-১, ৬-৩ ব্যবধানে উড়িয়ে দেন, যার ফলে ভারতের জয় নিশ্চিত হয়। অধিনায়ক রোহিত রাজপালের নেতৃত্বে ২০১৯ সালের নতুন ফরম্যাট চালু হওয়ার পর এটাই ইউরোপে ভারতের প্রথম সাফল্য।

Advertisement

শুধু থারুর নয়, শিল্পপতি আনন্দ মহিন্দ্রাও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন— “আজ সময় বের করে এই জয় উদযাপন করুন! এটা এক ঐতিহাসিক মাইলস্টোন।” অল ইন্ডিয়া টেনিস অ্যাসোসিয়েশন (AITA) জানায়, “এটি দলগত প্রচেষ্টার ফল।” সুমিত নাগাল ম্যাচ শেষে বলেন— “ইউরোপে জয় অনেকদিন পর এলো। আমরা সবাই একে অপরকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছি।”

বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ে ৩৭ নম্বর ভারত ২৪ নম্বর সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সবাইকে অবাক করেছে। ডেবিউ ম্যাচেই ধাক্ষিণেশ্বর সুরেশ প্রমাণ করেছেন যে রিজার্ভ খেলোয়াড়রাও দুর্দান্ত সাফল্য এনে দিতে পারে। এই জয় শুধু ২০২৬ কোয়ালিফায়ার্সের টিকিটই দিল না, ভারতীয় টেনিসের ভবিষ্যতের জন্যও নতুন আশা জাগাল। আগামী জানুয়ারি–ফেব্রুয়ারিতে কোয়ালিফায়ার্সের জন্য প্রস্তুত হবে ভারতীয় দল। তবে টেনিসপ্রেমীদের ক্ষোভ, ক্রিকেটের তুলনায় এই ঐতিহাসিক জয়ের প্রায় কোনো আলোচনা দেশজুড়ে হয়নি।

Read more!
Advertisement
Advertisement