Advertisement

Noida day care abuse: নয়ডায় ডে-কেয়ারে দুধের শিশুকে আছাড়-কামড়, নৃশংস অত্যাচারের CCTV ফুটেজ

নয়ডার এক ডে-কেয়ার সেন্টারে দেড় বছরের এক শিশু-কন্যার উপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, এক পরিচারিকা শিশুর মুখে চড় মারছে এবং ইচ্ছে করে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে। শিশুর শরীরে কামড়ের একাধিক দাগও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় আবাসনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 11 Aug 2025,
  • अपडेटेड 11:29 AM IST
  • নয়ডার এক ডে-কেয়ার সেন্টারে দেড় বছরের এক শিশু-কন্যার উপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে।
  • সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, এক পরিচারিকা শিশুর মুখে চড় মারছে এবং ইচ্ছে করে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে।

নয়ডার এক ডে-কেয়ার সেন্টারে দেড় বছরের এক শিশু-কন্যার উপর অকথ্য নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, এক পরিচারিকা শিশুর মুখে চড় মারছে এবং ইচ্ছে করে মাটিতে ফেলে দিচ্ছে। শিশুর শরীরে কামড়ের একাধিক দাগও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনায় আবাসনজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

ঘটনাটি নয়ডার সেক্টর ১৩৭-এর ‘প্যারাস টিয়েরিয়া’ আবাসনে। বাসিন্দাদের পরিচালিত এই ডে-কেয়ারে কর্মরত বাবা-মায়েরা প্রতিদিন তাঁদের সন্তানদের রেখে যান। অভিযোগ, ৪ অগস্ট শিশুটির উরুতে দাগ দেখে বাবা-মা প্রথমে ভেবেছিলেন অ্যালার্জি হয়েছে। পরে শিক্ষকরা জানালে ডাক্তার পরীক্ষা করে নিশ্চিত করেন যে এগুলি আসলে কামড়ের চিহ্ন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, অভিযুক্ত পরিচারিকা বারবার শিশুকে আঘাত করছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ফেলে দিচ্ছে। ফুটেজে শিশুর কান্নার শব্দও স্পষ্ট শোনা যায়। আক্রান্তের বাবা সন্দীপ জানান, ২১ মে থেকে তাঁরা প্রতিদিন মাত্র দুই ঘণ্টার জন্য মেয়েকে ওই ডে-কেয়ারে পাঠাচ্ছিলেন। তাঁদের বলা হয়েছিল, শিশুর দেখাশোনার জন্য তিন জন শিক্ষক থাকবেন, কিন্তু বাস্তবে পরিচারিকার কাছেই ছিলেন শিশু। প্রতি দুই ঘণ্টার জন্য দিতে হতো ২,৫০০ টাকা।

সন্দীপের দাবি, আরও একটি পরিবার জানিয়েছে যে তাঁদের সন্তানও একই ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং তারাও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাবে। বাবা-মায়ের অভিযোগ, ডে-কেয়ারের মালিক ঘটনার সময় কোনও হস্তক্ষেপ করেননি, বরং অভিযুক্তের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাঁদের হুমকি দেন।

পুলিশ জানিয়েছে, শিশুর মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং অভিযুক্ত পরিচারিকা, যিনি নিজেও নাবালিকা, আটক হয়েছেন। ডে-কেয়ারের লাইসেন্স ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম রয়েছে কি না, তাও তদন্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সন্দীপের আর্জি, “ডে-কেয়ারের মালিক ও অভিযুক্ত পরিচারিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে আর কোনও শিশুর সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে।”


 

Read more!
Advertisement
Advertisement