Advertisement

ব্লো-টর্চের মারাত্মক আগুনে শ্রদ্ধার মুখ, মাথা পুড়িয়ে ছিল আফতাব

দিল্লির নারকীয় হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা জানিয়েছে যে, সে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো করে, শ্রদ্ধার মুখের অংশ পুড়িয়ে দেয়। যাতে কোনও মতেই মুখের খণ্ডটি চেনা না যায়। আর সেই কাজে ব্যবহার করেছিল ব্লো-টর্চ।

ফাইল ছবি।ফাইল ছবি।
Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 07 Feb 2023,
  • अपडेटेड 9:06 AM IST
  • দিল্লির নারকীয় হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল।
  • শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা জানিয়েছে যে, সে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো করে, শ্রদ্ধার মুখের অংশ পুড়িয়ে দেয়।

দিল্লির নারকীয় হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল। শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডে এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তিতে অভিযুক্ত আফতাব আমিন পুনাওয়ালা জানিয়েছে যে, সে শ্রদ্ধা ওয়াকারকে হত্যা করে তাঁর দেহ টুকরো করে মুখের অংশ পুড়িয়ে দেয়। যাতে কোনও মতেই মুখের খণ্ডটি চেনা না যায়। আর সেই কাজে ব্যবহার করেছিল ব্লো-টর্চ। যন্ত্রটি মূলত ধাতু ঝালাই, গলানো বা ওই সংক্রান্ত কাজে ব্যাবহার করা হয়। ওই মুখের খণ্ড দেখলে যাতে কেউ চিনতে না পারে তার জন্যই আফতাব এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে সে পুলিশকে জানায়। 

পুলিশে চার্জশিট অনুসারে আফতাব স্বীকার করেছে, যে শ্রদ্ধার হাড়গুলি পোড়ানো এবং পিষে দেওয়ার বিষয়ে তার আগের বক্তব্য ছিল পুলিশকে বোকা বানানোর জন্য। খুনের রাতে আফতাব পাশের একটি হার্ডওয়্যারের দোকানে গিয়ে একটি করাত, তিনটি ব্লেড, একটি হাতুড়ি এবং প্লাস্টিকের ক্লিপ কিনেছিল।

আরও পড়ুন

শ্রদ্ধার দেহ বাথরুমে নিয়ে গিয়ে প্রথমে হাত কেটেছিল আফতাব। এবং তা একটি পলিথিনের ব্যাগে রেখে দেয় সে। ব্যাগগুলো সে তার রান্নাঘরের ক্যাবিনেটে রেখেছিল। পরের দিন, আনুমানিক রাত ২টার দিকে সে ছত্তরপুর বনাঞ্চলে শ্রদ্ধার শরীরের উরুর অংশটি ফেলে দেয়। পরের ৪-৫ দিনের মধ্যে আফতাব মৃতদেহটিকে ১৭ টুকরো করে ফেলে। সে এক এক করে শ্রদ্ধার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো ফেলে দেয়। যেগুলো তার সদ্য কেনা ফ্রিজে রাখা হয়েছিল যাতে সেগুলো পচে না যায়।

শরীরের সমস্ত অংশ ফেলে দেওয়ার আগে শ্রদ্ধার চুল কেটে ফেলা হয়েছিল, যাতে তাঁকে চেনা না যায়। 
আফতাব পুনাওয়ালা শ্রদ্ধা ওয়াকারকে (২৭) শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাঁর দেহকে ৩৫ টুকরো করে এবং ৩০০ লিটারের ফ্রিজে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলিতে তার বাসভবনে সংরক্ষণ করে। এবং বেশ কয়েকদিন ধরে শহরজুড়ে ফেলে দেয়। শ্রদ্ধাকে মে মাসে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ।

Advertisement

 

    Read more!
    Advertisement
    Advertisement