Advertisement

বিজেপি সাংসদের পুত্রবধূর গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু! দেহ নিয়ে রাস্তায় পরিবার

২ এপ্রিল, কলেজ যাওয়ার পথে স্কুটিতে থাকা অনিল দ্বিবেদী এবং তাঁর এক বন্ধু সিধি শহরে এক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন। অভিযোগ, সেই গাড়িটি সাংসদের বউমা নিজে চালাচ্ছিলেন। গাড়ির নম্বর ছিল MP 17 JE 5613, যা সাংসদের ছেলে ডঃ অনুপ মিশ্রার নামে রেজিস্টার্ড।

বিজেপি সাংসদের পুত্রবধূর গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু!বিজেপি সাংসদের পুত্রবধূর গাড়ির ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু!
Aajtak Bangla
  • ভোপাল,
  • 13 Apr 2025,
  • अपडेटेड 1:32 AM IST

জীবন বড়ই অনিশ্চিত। সকালে কলেজে বের হওয়া একটা ছেলে যে বিকেলে আর ঘরে ফিরবে না, সেটা কেউ ভাবতেই পারেনি। মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায় ঘটে গেল এমনই এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। বিজেপি সাংসদ ডঃ রাজেশ মিশ্রার বউমা ডঃ বীনা মিশ্রার গাড়ির ধাক্কায় কলেজ পড়ুয়া যুবক অনিল দ্বিবেদীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে, এবং পরিবার রীতিমতো রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করে।

২ এপ্রিল, কলেজ যাওয়ার পথে স্কুটিতে থাকা অনিল দ্বিবেদী এবং তাঁর এক বন্ধু সিধি শহরে এক গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর জখম হন। অভিযোগ, সেই গাড়িটি সাংসদের বউমা নিজে চালাচ্ছিলেন। গাড়ির নম্বর ছিল MP 17 JE 5613, যা সাংসদের ছেলে ডঃ অনুপ মিশ্রার নামে রেজিস্টার্ড।

অনিলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেওয়া’র সঞ্জয় গান্ধী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে জবলপুর ও নাগপুর চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও শেষমেশ আবার রেওয়া হাসপাতালে ফেরানো হয়। সেখানে এক সপ্তাহের লড়াইয়ের পর অনিল মারা যান।

আরও পড়ুন

ঘটনার পরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে গাড়িচালক তথা ড্রাইভারের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। কিন্তু অনিলের পরিবারের দাবি, “গাড়ি চালাচ্ছিলেন সাংসদের বউমাই, ড্রাইভার নয়!” তাই FIR ডঃ বীনা মিশ্রার নামে করতে হবে—এই দাবিতেই তারা সাংসদের বাড়ির সামনে মৃতদেহ রেখে চাকা জ্যাম ও বিক্ষোভে বসে পড়েন।

পরিবারের বয়ান ও পুলিশের বক্তব্য:
অনিলের পরিবারের মতে, "আমার ছেলে নির্দোষ ছিল। ও কলেজ যাচ্ছিল। বড়লোকের গাড়ি চাপা দিয়ে চলে গেল, আর এখন তারা ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। আমরা ন্যায় না পেলে লাশ সরাবো না।"

পুলিশের পক্ষ থেকে ডিএসপি গায়ত্রী তিওয়ারি বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। পরিবারের বয়ান নেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

এলাকায় উত্তেজনা, মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী:
অনিলের মৃত্যুর পরেই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষুব্ধ পরিবার স্লোগান দিতে দিতে সাংসদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।

Advertisement


এই ঘটনা শুধু একজন যুবকের মৃত্যু নয়, এটা সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচারের জন্য লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ক্ষমতাবানদের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষ আজও দাঁড়াতে জানে—এই মেসেজটা খুব জোরালোভাবে উঠে এসেছে সিধির রাস্তায়। এখন শুধু দেখার, প্রশাসন আদৌ নিরপেক্ষ তদন্ত করে কি না, নাকি আবারও “পাওয়ারফুল কভার আপ” দেখতে হবে।

Read more!
Advertisement
Advertisement