Advertisement

Tattoo Designs: শরীরের নীচের অংশে ভগবান বা ধর্মীয় ট্যাটু নিষিদ্ধ, সিকিমে কড়া অ্যাডভাইজারি

শরীরের বেমানান জায়গায় ভগবানের ছবি কিংবা ধর্মীয় কোনও উল্কি আঁকা যাবে না। এই নিয়ে অ্যাডভাইসরি প্রকাশ করল সিকিম সরকার। কোমরের নীচে এই ধরনের ট্যাটুর প্রদর্শন দৃষ্টিকটু বলেই উল্লেখ করেছে পড়শি রাজ্যের সরকার।

নিজস্ব ছবি নিজস্ব ছবি
Aajtak Bangla
  • গ্যাংটক,
  • 14 Oct 2025,
  • अपडेटेड 12:57 PM IST
  • কোমরের নীচে ভগবানের ছবির ট্যাটু নিষিদ্ধ
  • বেমানান জায়গায় ট্যাটু করা নিয়ে আপত্তি সিকিম সরকারের
  • জারি করা হল বিশেষ অ্যাডভাইসরি

শরীরের বেমানান জায়গায় ভগবানের উল্কি নিয়ে বেজায় চটল সিকিম সরকার। সে রাজ্যে অনুষ্ঠিত সাম্প্রতিক একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের ট্যাটুতে ধর্মীয় প্রতীক এবং নানা ভগবানের ছবি অনুপযুক্তভাবে প্রদর্শিত হওয়ায় আপত্তি উঠেছে। এই মর্মে রাজ্যের ধর্ম বিষয়ক দফতর কড়া পদক্ষেপ করেছে। সোমবার জারি করা এক আডভাইসরিতে এই দফতর জনসাধারণতকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন কোনও কাজ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে শরীরের বেমানান জায়গায়, বিশেষত কোমরে বা পেটের নীচে ধর্মীয় ট্যাটু প্রদর্শন করা যাবে না। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, 'সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে দেবদেবীর চিত্র রয়েছে এমন ট্যাটু প্রদর্শ করতে দেখাল গিয়েছে একাধিক জনে। তা এমনভাবে প্রদর্শিত হয়েছে, যা অত্যন্ত অসম্মানজনক। বিশেষত যখন সেগুলি শরীরের নিম্নাংশে আঁকা হয়েছে, তা দৃষ্টিকটু হয়ে দাঁড়ায়।' ধর্ম বিষয়ক এই দফতর জানিয়েছে, ধর্মীয় চিত্রের এইরকম ব্যবহার স্থানীয় বিশ্বাস, প্রথা ও সংস্কৃতির প্রতি আঘাত করছে। তাই সবাইকে সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

অ্যাডভাইসরি অনুযায়ী, ধর্মীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও চিত্র বা প্রতীক ট্যাটু হিসেবে আঁকার সময়ে শিল্পী ও ব্যক্তিদের যথাযথ সতর্কতা ও সংযম প্রদর্শন করা উচিত। কোনও শিল্পকর্ম যেন এমনভাবে সৃষ্ট বা প্রদর্শিত না হয়, যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে বা কোনও সম্প্রদায়ের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করে।

উল্লেখ্য, গত ৯ থেকে ১২ অক্টোবর সিকিমের সারামসায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল ট্যাটু কনভেনশন চলাকালীন কিছু উল্কিতে ধর্মীয় দেবদেবীর প্রতীক এবং চিত্র অনুপযুক্তভাবে ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হলে অনুষ্ঠানটির আয়োজকরা সিকিমবাসী ও ধর্ম বিষয়ক দফতরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে নেন।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement