মেঘ ভাঙা বৃষ্টি আর ধসে বিপর্যস্ত সিকিমে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ভারতীয় সেনা। এখনও আটকে বহু পর্যটক। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যেই স্থানীয়রাও উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছে। তবে প্রবল ধসে লাচেন সিকিমের অন্য অংশের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এটি অন্যতম জনপ্রিয় ট্যুরিজম স্পট। সেখানে এখনও আটকে রয়েছেন ১১৩ জন। কিন্তু তাঁদের কাছে পৌঁছনোর সমস্ত রাস্তা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন কোন বিকল্প পথে পর্যটকদের নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে?
উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সেনা। ৩০ জনকে এয়ারলিফ্ট করে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক জন বিদেশি পর্যটকও রয়েছে।
কোন কোন রুটের কী পরিস্থিতি?
> মঙ্গন থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তা যা রাকডুং হয়ে তিনটেক পর্যন্ত গিয়েছে, তা আপাতত পরিষ্কার।
> ফোডং রোড দিয়ে মঙ্গন থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত রাস্তাও পরিষ্কার। তবে বুধবারও এই রুটে কোনও বড় গাড়ি চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না।
> বুধবারও বন্ধ রয়েছে মঙ্গন থেকে টুং নাগা হয়ে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা।
> মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত ফিডাং দিয়ে যে রাস্তা গিয়েছে, সেটির উপর ফি এবং ডেট ব্রিজে কেবলমাত্র ছোট গাড়ি যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।
> সঙ্কলং দিয়ে মঙ্গন থেকে চুংথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
> চুবোম্বু থেকে চুংথাং হয়ে লাচেন পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
> জিমা হয়ে লাচেন থেকে থাংগু পর্যন্ত বন্ধ।
> চুংথাং থেকে লাচুন অবশ্য পরিষ্কার।
> লাচুন থেকে ইয়ুমথাং পর্যন্ত রাস্তা বন্ধ।
> মঙ্গন থেকে ডিকচু পর্যন্ত রাস্তা পরিষ্কার।
আপাতত সিকিমের আবহাওয়ার কিছুটা হলেও উন্নতি হয়েছে। ফলে উদ্ধারকাজে গতি এসেছে। চেতনে একটি মিলিটারি ক্যাম্পে ধস নমার পর ৩ জওয়ানের মৃত্যু হয়েছিল। ওই ক্যাম্পের ৬ জওয়ান এখনও নিখোঁজ। তাঁদের খোঁজে দিন রাত এক করে চলছে তল্লাশি। এই তালিকায় রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সান্ধুর বিধবা স্ত্রী স্কোয়াড্রন লিডার আরতি সান্ধু এবং তাঁর মেয়ে আমায়রা সান্ধু।