পশ্চিমবঙ্গে SIR কবে? রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে সেই প্রশ্নেরই মুখোমুখি হলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। রবিবার দুপুর ৩টে থেকে সাংবাদিক বৈক করেন CEC জ্ঞানেশ কুমার। তিনি বলেন, 'ভোটার তালিকা নিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। অথচ সংবিধান মেনেই কমিশনের কাজ চলছে, চলবে।' তাঁর কটাক্ষ, কিছু রাজনৈতিক নেতা ভোটারদের ভুল তথ্য দিচ্ছেন। ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কমিশনের মতে, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো ছাড়া আর কিছুই নয়। এদিন SIR নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই সময়েই এক সাংবাদিক পশ্চিমবঙ্গে SIR এর দিনক্ষণ জানতে চান। তার উত্তরে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানান, রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধন বা SIR এর সময় এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি।তিনি বলেন, ' ৩ নির্বাচন কমিশনার মিলে আলোচনা করে সঠিক সময়ে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।'
ভোট চুরির অভিযোগে পাল্টা ক্ষোভ
এদিন জ্ঞানেশ কুমার বলেন, সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের বয়স ১৮ পেরোলেই ভোটার হিসেবে নাম নথিভুক্ত করা আবশ্যক। সেই সঙ্গে প্রত্যেকের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে কমিশন দায়বদ্ধ। 'ভোট চুরি' শব্দবন্ধ নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে তিনি বলেন, এই ধরনের শব্দ ব্যবহার সংবিধানের প্রতি অসম্মানজনক।
'সব দলই সমান'
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, সমস্ত রাজনৈতিক দলই কমিশনের কাছে সমান। কারও সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয় না। 'কমিশনের কাছে শাসক বা বিরোধী, কেউই স্পেশাল নয়। আমরা কেবল সংবিধান মেনে নিজেদের কর্তব্যটুকু পালন করি। সেটা থেকে কোনওভাবেই পিছিয়ে আসব না,' বলেন জ্ঞানেশ কুমার।
রাহুলকে নিশানা?
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি কমিশনের মাধ্যমে 'ভোট চুরি'র অভিযোগ তুলেছিলেন। রবিবার বিহার থেকে ভোটার অধিকার যাত্রাও শুরু করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। এদিন নাম না করে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'কিছু নেতা ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। ভুল তথ্য ছড়িয়ে ভয় দেখাচ্ছেন।' রাজনৈতিক মহলের দাবি, রাহুল গান্ধীর উদ্দেশেই এই বার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।