নিউজক্লিক কাণ্ডে CPIM-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির বাড়িতে হানা দিল্লি পুলিশের। সীতারাম ইয়েচুরির ওই বাসভবনে থাকেন এক যুবক। তিনি নিউজক্লিক-এর সঙ্গে যুক্ত। সেজন্যই সীতারামের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ।
এই বিষয়ে সীতারাম ইয়েচুরি বলেন, 'পুলিশ আমার বাসভবনে এসেছিল। কারণ একজন আমার সঙ্গে থাকে। তার ছেলে নিউজক্লিকে কাজ করে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে এসেছিল। পুলিশ ল্যাপটপ এবং ফোন নিয়ে গেছে সেই যুবকের। পুলিশ যে কী তদন্ত করছে, কেউ জানে না।'
এই তল্লাশি নিয়ে পুলিশের সমালোচনাও করেন সীতারাম। তিনি বলেন, 'এই সব করে পুলিশ মিডিয়ার কণ্ঠকে রোধ করার চেষ্টা করছে। এর কারণ আসলে কী তা দেশের মানুষের জানা দরকার।'
সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যেখানে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ ক্লিকের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তোলা হয়। অভিযোগ, ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালাতে এবং খবর প্রকাশ করতে এই সংবাদমাধ্যমে চিন বিনিয়োগ করছে।
এই ওয়েবসাইট নিউজক্লিক (NewsClick)-এর বিরুদ্ধেকেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও এই অভিযোগ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, চিন, নিউজক্লিক এবং কংগ্রেস 'ভারত-বিরোধী কাজে' যুক্ত। নিজের সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বজুড়ে চিনের হয়ে প্রচার করছেন সিংহম নামে এক ব্যক্তি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সিংহম চিনের সরকারি মিডিয়ার সঙ্গে মিশে কাজ করছে। তাদের প্রচার প্রচারে অন্তত ২৭৫ মিলিয়ন ডলার খরচ করছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিংহম অলাভজনক গ্রুপ এবং শেল কোম্পানির মাধ্যমে এই সব দিনের পর দিন করছে। উদাহরণস্বরূপ, ম্যাসাচুসেটসে সিংহমের একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক আছে, ম্যানহাটনে ইভেন্ট স্পেস রয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি রাজনৈতিক দলকে তিনি সমর্থন করেন এবং ভারত এবং ব্রাজিলের সংবাদ সংস্থাগুলিকেও প্রভাবিত করেন৷
এই অভিযোগ সামনে আসার পরই দিল্লি পুলিশ সক্রিয় হয়। দিল্লির প্রায় ৩০ টি জায়গাতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেই সূত্রেই ইয়েচুরির বাড়িতে যায় পুলিশ।