Advertisement

Skeleton in locked house: কঙ্কালের নোকিয়া ফোনে ৮৪ মিসড কল, পুরোনো পাঁচশো-হাজারের নোট, মৃত্যুর কারণ জানাল পুলিশ

হায়দরাবাদের নামপল্লি এলাকার ফাঁকা একটি বাড়ি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি অন্তত ১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া আমির খানের। সোমবার এক স্থানীয় যুবক ক্রিকেট বল খুঁজতে গিয়ে ফাঁকা বাড়িটির ভেতরে কঙ্কালটি দেখতে পান, এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি ,
  • 15 Jul 2025,
  • अपडेटेड 4:06 PM IST
  • হায়দরাবাদের নামপল্লি এলাকার ফাঁকা একটি বাড়ি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
  • তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি অন্তত ১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া আমির খানের।

হায়দরাবাদের নামপল্লি এলাকার ফাঁকা একটি বাড়ি থেকে একটি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, কঙ্কালটি অন্তত ১০ বছর আগে নিখোঁজ হওয়া আমির খানের। সোমবার এক স্থানীয় যুবক ক্রিকেট বল খুঁজতে গিয়ে ফাঁকা বাড়িটির ভেতরে কঙ্কালটি দেখতে পান, এবং সেই দৃশ্য ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেন।

পুরনো ফোন আর বাতিল নোটে মিলল সূত্র
তদন্তে গিয়ে পুলিশ ওই ঘর থেকে উদ্ধার করেছে একটি পুরনো নোকিয়া ফোন এবং বাতিল হয়ে যাওয়া ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট। ফোনটি চালু করে দেখা যায়, ২০১৫ সালে ৮৪টি মিসড কলের রেকর্ড রয়েছে। এই সূত্রে পুলিশের ধারণা, আমিরের মৃত্যু ২০১৫ বা তার আগেই হয়ে থাকতে পারে। ২০১৬ সালের নোটবাতিলের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর ফাঁকা পড়ে ছিল বাড়ি
বাড়িটির মালিক মুনির খানের ১০ জন সন্তান থাকলেও কেউ ওই বাড়িতে থাকতেন না। এলাকাবাসীর দাবি, অন্তত সাত বছর ধরে বাড়িটি তালাবন্ধ অবস্থায় পড়ে ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, মুনির খানের চতুর্থ সন্তান আমির খান মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। দীর্ঘদিন কেউ তাঁর খোঁজ না নেওয়ায় মৃত্যুর খবরও প্রকাশ পায়নি।

পরিবারের সদস্যের সাক্ষ্য
মৃত আমিরের ভাই শাদাব খান কঙ্কালের পাশে পাওয়া একটি আঙটির মাধ্যমে দেহাবশেষ শনাক্ত করেছেন। একই সঙ্গে কঙ্কালের পাশে পাওয়া হাফপ্যান্টও তাঁর দাদার বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।

পুলিশের বক্তব্য
হায়দরাবাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি) কিশান কুমার বলেন, 'কোনও আঘাতের চিহ্ন বা রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। মনে হচ্ছে স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন কেউ খোঁজ না নেওয়াটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।'

ইতিমধ্যেই পুলিশের বিশেষ দল CLUES ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। দেহাবশেষ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য, যাতে সঠিক পরিচয় ও মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করা যায়।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement