সেই ২০১৯ সাল। লকডাউনেরও প্রায় বছর খানেক আগে। তখনই শেষবারের মতো বাড়ির ৫ সদস্যকে দেখেছিল পাড়ার মানুষ। তারপর থেকে বেপাত্তা। হঠাতই কোথায় যেন চলে গিয়েছিলেন। পাড়ার লোকও আর বিশেষ এই নিয়ে মাথা ঘামায়নি। তবে এত বছর পর, সেই বাড়ির দরজা খুলে প্রবেশ করতেই দেখা গেল ভয়ানক দৃশ্য। বাড়ি থেকে মিলল ৫ জনের কঙ্কাল দেহাবশেষ। কর্ণাটকের চিত্রদূর্গ জেলার ঘটনা।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পাড়ায় খুব একটা মেলামেশা করতেন না ওই পরিবারের কেউ-ই। গুরুতর শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিশেষ বের হতেন না। ফলে কারও সঙ্গে সেভাবে পরিচয় ছিল না।
ফলে তাঁদের ভুলে যেতেও বিশেষ সময় লাগেনি স্থানীয়দের। টনক নড়ে মাস দুই আগে। এলাকার কয়েকজন মর্নিং ওয়াকে বেরিয়েছিলেন। তখন দেখেন বাড়ির সামনের কাঠের দরজাটা ভাঙা। চুরি-চামারি হয়েছে ভেবে পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
পুলিশ এসে ভিতরে ঢোকে। সঙ্গে স্থানীয়রাও। ভিতরে ঢুকেই যা দৃশ্য দেখলেন, তাতে তাঁদের হাড় হিম হয়ে যায়।
দেখা যায় একটি ঘরেই ৪টি কঙ্কাল দেহাবশেষ। দুইটি খাটে ও দুইটি মেঝেয়। পাশের ঘর থেকে মেলে আরও একটি এমন কঙ্কাল দেহাবশেষ।
পুলিশের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের টিম।
প্রাথমিকভাবে যা জানা যাচ্ছে, ওই বাড়িতে ৯০-এর কাছাকাছি বয়সের বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রী থাকতেন। তাঁদের ছেলে পূত্রবধুরও বয়স ৬০-এর ঘরে হবে। সেই সঙ্গে এক নাতিও থাকতেন।
তবে এই দেহগুলি তাঁদেরই কিনা, সেই বিষয়ে এখনই নিশ্চিত বিবৃতি দেয়নি পুলিশ। ফরেন্সি রিপোর্টের পরেই সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
অসুস্থতার কারণে মৃত্যু নাকি অন্য কোনও রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।