আজ রবিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে শপথ নেবেন আরও একাধিক মন্ত্রী। তবে কারা শপথ নেবেন তা এখনও সম্পূর্ণভাবে স্পষ্ট নয়। কারা মন্ত্রিত্ব পাবেন ও কারা হারাবেন তা নিয়ে সরগরম দিল্লি।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার জন্য যাঁদের কাছে ফোন পৌঁছেছে তাঁরা খুশি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ফোন পাওয়া ব্যক্তিরা মন্ত্রিত্ব পাবেন। সেজন্য তাঁরা প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন। তবে ফোন পাননি এমন সিনিয়র সাংসদও রয়েছেন। বিজেপির এমন ২০ জন রয়েছেন, যাঁরা হয়তো মন্ত্রিত্ব পাবেন না। তবে সেই ২০ জনকে ২০১৯ সালে মন্ত্রিত্ব দেওয়া হয়েছিল। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছেন তাঁরা।
সূত্রের খবর, এবার তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। যাঁরা ফোন পাননি তাঁরা এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অংশ নেননি। এঁদের মধ্যে আবার এমন অনেকে রয়েছেন, যাঁরা ২০২৪ সালের ভোটে জিততেও পারেননি।
আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী নিজের বাসভবনে চা-চক্র ডাকেন। সেখানে তাঁরাই উপস্থিত ছিলেন যাঁদের ফোন করে ডাকা হয়েছিল। মোট ২২ জন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন বাসভবনে চা-চক্রে। তাঁরা হলেন, সর্বানন্দ সোনোয়াল, চিরাগ পাসোয়ান, অন্নপূর্ণা দেবী, মনোহর লাল খট্টর, শিবরাজ সিং চৌহান, ভগীরথ চৌধুরী, কিরেন রিজিজু, জিতিন প্রসাদ, এইচডি কুমারস্বামী, এস জয়শঙ্কর, সিআর পাতিল, কৃষ্ণপাল গুর্জার।
তালিকায় নেই যে ২০ হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী
অজয় ভাট, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, মীনাক্ষী লেখি, রাজকুমার রঞ্জন সিং, জেনারেল ভি কে সিং, আর কে সিং, অর্জুন মুন্ডা, স্মৃতি ইরানি, অনুরাগ ঠাকুর, রাজীব চন্দ্রশেখর, নিশীথ প্রামাণিক, সুভাষ সরকার, জন বার্লা, ভারতী পানওয়ার, অশ্বিনী চৌবে, রাওসাহেব দানভে, কপিল পাতিল, নারায়ণ রানে ও ভগবত করাড।
বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলা থেকে সুকান্ত মজুমদার ও অনুরাগ ঠাকুরকে মন্ত্রি করা হতে পারে। তবে তাঁরা পূর্ণ মন্ত্রির দায়িত্ব পাবেন কি না এখনও স্পষ্ট নেই। এর আগের ৫ বছরের মেয়াদে শান্তনুকে জাহাজ প্রতিমন্ত্রির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবারও তাঁর মন্ত্রক বদল হবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তবে সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে কোনও তথ্য এখনও সামনে আসেনি।