
কেরলের মুন্নারে BJP-র টিকিটে পুরসভা ভোটে লড়ছেন সনিয়া গান্ধী! অবাক হচ্ছেন?
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার বর্তমান সাংসদ নয়, এই সনিয়া গান্ধী মুন্নারের পঞ্চায়েতের ১৬ নম্বর ওয়ার্ড নাল্লাথান্নির BJP প্রার্থী। বয়স ৩৪ বছর। মজার বিষয় হল, তাঁর বাবা একজন কট্টর কংগ্রেস সমর্থক ছিলেন এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রীর গুণগ্রাহী ছিলেন। তাঁর নাম থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই মেয়ের নাম রেখেছিলেন সনিয়া গান্ধী।
কীভাবে সনিয়া গান্ধী হলেন BJP প্রার্থী?
সনিয়ার কথায়, 'বাবা কংগ্রেস এবং UDF-এর একজন বড় সমর্থক ছিলেন। যে কারণে আমার নাম রাখেন সনিয়া গান্ধী। আমার গোটা পরিবার আজও কংগ্রেসের সমর্থক। আসলে আমার স্বামী BJP করে। স্বামীকে সমর্থন করতেই BJP-তে যোগদান করেছিলাম। এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।'
জানা গিয়েছে, এই সনিয়া গান্ধীর স্বামী সুভাষ প্রায় দেড় বছর আগে পুরাতন মুন্নার মূলাকাদাই এলাকায় পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে BJP প্রার্থী ছিলেন। সনিয়া গান্ধীও এই আসনে কংগ্রেসের মঞ্জুলা রমেশ এবং CPIM-এর ভালারমাথির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মুন্নার শ্রমিক দূর রাজ একনিষ্ঠ কংগ্রেস সমর্থক ছিলেন। তিনি কংগ্রেসের তৎকালীণ সভানেত্রীর থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নবজাতকের নাম রাখেন সনিয়া গান্ধী। ইদুককির পাহাড়ে বছরের পর বছর ধরে এই নাম একটি অদ্ভূত কাকতালীয় ঘটনা হিসেবে রয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস দল এবং গান্ধী পরিবারের দাপট এই অঞ্চলে এখনও অটুট। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভঢরা মুন্নার থেকে প্রায় ২০০ কিমি দূরে ওয়েনাড়ের সাংসদ। পূর্বে এই আসনে সাংসদ ছিলেন তাঁর ভাই রাহুল গান্ধী।
কেরলে পঞ্চায়েত এবং পুর নির্বাচন রয়েছে আগামী ৯ এবং ১১ ডিসেম্বর। রাজ্যের ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ১৫২টি ব্লক পঞ্চায়েত, ১৪টি পঞ্চায়েত, ৮৭টি পুরসভা এবং ৬টি পুর কর্পোরেশনে ভোটগ্রহণ হবে।