যুদ্ধের আবহে দুই দেশই ভারতকে পাশে পেতে আগ্রহী। তবে ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে এখনও পর্যন্ত নিরপেক্ষ অবস্থানই বজায় রেখেছে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এদিকে, ইরান সরকার চাইছে ইজরায়েলি হামলার নিন্দা করুক মোদী সরকার। এই আবহে এবার কেন্দ্রের ভূমিকার সমালোচনায় সরব সোনিয়া গান্ধী। মৌন অবস্থানকে ‘নীতি বিরুদ্ধ’ এবং ‘কাপুরুষোচিত’ বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীর বক্তব্য, 'ইজরায়েল ইরানের সাধারণ জনগণের উপর যে হামলা চালাচ্ছে সেটা একতরফা ও আইনবিরুদ্ধ। ভারত সরকারের উচিত এ নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করা।' দুই দেশের সংঘাতে কংগ্রেস যে ইরানের পক্ষে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সোনিয়া। তিনি বলেন, 'ইরান আমাদের পুরনো বন্ধু। শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কই নয়, ইরানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক যোগও রয়েছে। অতীতে একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান। সরকারেরও উচিত মধ্য প্রাচ্যে শান্তিরক্ষার জন্য সরব হওয়া।'
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিষ্ঠুর তকমা দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তাঁর বক্তব্য, 'ইজরায়েল যেভাবে ইরানে হামলা চালিয়েছে সেটা ইরানের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা বেআইনি, একতরফা এবং আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা। কংগ্রেস এই হামলার নিন্দা করছে।'
ইরানে কেন ইজরায়েল হামলা চালাল, প্রশ্ন তুলছেন সোনিয়া। আর শুধু ইরান নয়, ইজরায়েল যেভাবে গাজা ভুখণ্ডে লাগাতার গণহত্যা চালাচ্ছে, সেটারও তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী। তিনি বলেন, 'গাজা এবং ইরানের এই মানবিক সংকটে নয়াদিল্লির নীরবতা আমাদের নৈতিক এবং কূটনৈতিক ঐতিহ্যের পরিপন্থী। এতে শুধুই মধ্য প্রাচ্যে ভারত নিজের অবস্থান দুর্বল করে ফেলবে, তা-ই নয়, নৈতিকতার সঙ্গেও আপস করবে। এখনও দেরি হয়ে যায়নি। নয়াদিল্লির উচিত এখনই মধ্য প্রাচ্য নিয়ে অবস্থান বদলানো।'