Advertisement

করোনার টিকা দিতেই মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরিয়ে এল কিশোরের, তারপর...

নিয়ম বহির্ভুতভাবে এক ১৬ বছরের কিশোরকে টিকা দিতে গিয়ে বিপত্তি। করোনার টিকা তাঁর শরীরে প্রবেশ করাতেই মাথা ঘুরে পড়ে যায় কিশোর। মুখ দিয়ে বের হতে থাকে গ্যাঁজলা। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়।

টিকা নিয়ে বিপত্তি
Aajtak Bangla
  • গোয়ালিয়র,
  • 29 Aug 2021,
  • अपडेटेड 8:29 AM IST
  • টিকা দিতেই বিপত্তি, শুরু হয় গ্যাঁজলা বের হওয়া
  • রোগীকে গোয়ালিয়র পাঠানোর নির্দেশ
  • গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে

টিকা দিতেই মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল গ্যাঁজলা। মাথা ঘুরে পড়ে গেল ১৬ বছরের কিশোরষ এই ঘটনা নিয়ে এখন মধ্যপ্রদেশে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ১৬ বছর বয়সী কিশোরকে কি করে টিকা দেওয়া হল, ১৮ বছরের নীচে যেখানে টিকাকরণ শুরু হয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ওই কিশোরের টিকাকরণে কোনও গাফিলতি আছে কি না, কিংবা আগে থেকে কোনও রোগ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মধ্যপ্রদেশের বাগ কা পুরা এলাকার ঘটনা

ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের মরৈনা জেলার মাহফিলের বাগ কা পুড়া এলাকার। যেখানে কমলেশ কুশবাহা নামে এক ব্যক্তি তাঁর ছেলে পিলুকে করোনার ভ্যাকসিন দিতে নিয়ে যান। মরৈনা জেলার সদরের থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে একটি সেন্টারে টিকা দেওয়া হচ্ছিল।

ভ্যাকসিন দেওয়ার পরই মাথা ঘোরে ও গ্যাঁজলা বের হয়

নিউজ এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভ্যাকসিন লাগানোর পর মাথা ঘুরতে শুরু করে এবং তার মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে শুরু হয়। তা দেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা ঘাবড়ে যান। গোলমাল এড়াতে  তড়িঘড়ি তাকে চিকিৎসার জন্য গোয়ালিয়ার-এ রেফার করে দেওয়া হয়।

টিকাকরণ সেন্টারে গোলমাল

অন্যদিকে পিলু অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেই তার পরিবারের লোকজন ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারে হইচই শুরু করেন। ব্যাপক গোলমাল শুরু হয়। যদিও গোলমাল ভাঙচুরে পরিণত হয়নি।

রোগীর বাড়িতে টিম পাঠানো হয়েছে

মরৈনা চিফ মেডিকেল এবং হেলথ অফিসার (CMHO) ডাক্তার এডি শর্মা জানিয়েছেন, আমরা এটা জানার চেষ্টা করছি ওই রোগী গোয়ালিয়র-এ গিয়েছে কি না। আমরা কিছু সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে ওই কিশোরকে গোয়ালিয়রে না নিয়ে গিয়ে ঘরে নিয়ে চলে যাওয়া হয়েছে। তাঁরা জানান রবিবার সকালে একটা টিম পিলুর বাড়িতে পাঠানো হয়।

Advertisement

ঘটনার একাধিক বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে

পিলু আগে থেকেই মৃগী বা ওই জাতীয় কোন রোগে আক্রান্ত ছিল কি না, তাও জানার চেষ্টা করছে মেডিকেল টিম। সমগ্র বিষয়টিতে তাদের বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হয়েছে। ডক্টর শর্মা জানিয়েছেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে ওই নাবালক কীভাবে তাকে টিকা লাগানো হচ্ছিল, তাও তদন্ত করা হচ্ছে। পিলুর আধার কার্ড অনুযায়ী তার বয়স ১৬ বছর এবং তার জন্ম তারিখ ২০০৫ সালের ১ জানুয়ারি। তাতে তাকে টিকা দেওয়ার কথাই নয়।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement