মেঘলা আকাশ, কয়েক পসলা বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরমের হাত থেকে কিছুতেই যেন রেহাই মিলছে না। তবে তার মাঝেই সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস। চলতি বছর মে মাসেই সম্ভবত মৌসুমী বায়ুর গতিবিধি শুরু হয়ে যাবে। বর্ষা আসতেও যে আর বেশি দেরি নেই, আবহাওয়া দফতরের ইঙ্গিত তেমনটাই। সাধারণত জুন মাসের ৪ তারিখ থেকে দেশে বর্ষার আগমন হয়। আর দক্ষিণ আন্দামান সাগরে বর্ষা ঢোকে সাধারণত ২২ মে। তবে পূর্বাভাস বলছে এ বছর দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অনেকটাই আগে শুরু হয়ে যেতে পারে মৌসুমী বায়ুর গতিবিধি।
মঙ্গলবারের ওয়েদার রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগরে এগিয়ে আসছে মৌসমী বায়ুর গতিবিধি। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরের এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বেশ কিছু অংশে মৌসুমী বায়ুর আগাম প্রবেশের সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩ মে থেকে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন এলাকায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালেও এই অংশে আগেভাগেই প্রবেশ করেছিল মৌসুমী বায়ু। ১৯ মে থেকে মৌসুমী বায়ুর গতিবিধি শুরু হয়েছিল দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে।
দিল্লির মৌসম ভবনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ২০২৫ সালে দেশে ১০৫ শতাংশ বর্ষা হবে। পাশাপাশি স্বস্তি দিয়ে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিরও পূর্বাভাস দিয়েছিল IMD। জানা গিয়েছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে গড় বৃষ্টিপাত হবে স্বাভাবিকের থেকে বেশি। আগের বছরগুলির তুলনায় এ বছর পরিস্থিত অনেকটাই অনুকূলে রয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। মৌসম ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, লাদাখ, উত্তর-পূর্ব ভারত এবং তামিলনাড়ুতে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা কম হতে পারে। তবে দেশের বাকি অংশে বর্ষা স্বাভাবিকের থেকে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা।
প্রসঙ্গত, বাংলায় বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে ঝড়বৃষ্টি। গত কয়েকদিন কলকাতা-সহ একাধিক জেলায় মেঘলা আকাশ থাকলেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হয়নি। তবে মঙ্গলবার ও বুধবার রাজ্যের সব জেলাতেই ফের ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। এরপর শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আবার গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে তাপমাত্রা বাড়তে পারে তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। এর পাশাপাশি রবিবার কলকাতায় তাপমাত্রার সঙ্গে বইতে পারে শুকনো গরম হাওয়া।