ভারতে জঙ্গি নাশকতার পরিরল্পনা করতে এবার আঞ্চলিক ভাষায় প্রচার শুরু করল ইসলামি স্টেট(IS)। সম্প্রতি,কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIA-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দেশের যব সমাজের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, যাতে তারা কোনও পরিস্থিতিতেই এই প্রচারে উদ্বুদ্ধ না হয়। সেই সঙ্গে দেশ বিরোধী সমস্ত রকম প্ররোচনা থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার তরফে।
ইতিমধ্যেই NIA-র তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজর রাখা শুরু হয়েছে এই তথ্যকে কেন্দ্র করে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, কিছু ট্রান্সলেটরের সাহায্য নিয়ে ভারত বিরোধী প্রচার শরু করেছে IS। এই ট্রান্সলেটর বা দোভাষীরা সাধারণভাবে জঙ্গি সংগঠনগুলির প্রতি নমনীয়। আর তাই তাদের কাজে লাগিয়েই এই প্রচার সারছে IS।
গোয়েন্দা সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, প্রথমে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আঞ্চলিক ভাষায় ভারত বিরেধী কথাবার্তা ছড়ানো হচ্ছে। তাতে যুব সম্প্রদায়ের কেউ উদ্বুদ্ধ হয়েছে দেখতে পেলেই তাকে বুঝিয়ে সংগঠনে নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে বাকি সদস্যরা। গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই এই দোভাষীদের চয়ন করা হচ্ছে। এবং তাদের দিয়েই এই আঞ্চলিক ভাষায় প্ররোচনামূলক বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ২০১৬-১৭ সাল থেকে জমি তৈরি করে চলেছে IS। এবার সেখান থেকেই এই প্রচারের কাজ শুরু করেছে তারা।
NIA-র তরফে জানানো হয়েছে, অনেক সময় আবার কারও পোস্ট করা ভিডিও বা লেখা যদি জঙ্গিদের পছন্দের তালিকা চলে আসে, তাহলে তারা তাকেও অনেক সময় যোগাযোগ করে সংগঠনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। আরা সেখান থেকেই ঘটছে বিপদের আশঙ্কা।
সম্প্রতি গ্রেফতার হওয়া IS সমর্থকারী জুফরি জওহর দামুদির ভয়েস ও হিন্দে লেখা থেকেই সামনে আসে এই তথ্য। জুফরি আফগানিন্তান থেকে আসা ভারত বিরোধী বিষয়গুলিকে মালয়েলামে তর্জমা করতো। পাশাপাশি, গোয়েন্দারা এটাও জানাচ্ছেন, যদি কেউ নিজেদের আঞ্চলিক ভাষা যেমন বাংলা, হিন্দি বা অসমীয়াতে কোনও ভারত বিরোধী কথাবার্তা সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন, তাহলে তাদের সঙ্গে অনেকসময় এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যরা যোগাযোগ করছে। তাদের দিয়েই এই দোভাষীর কাজ করাচ্ছে।
অন্যদিকে, গোয়েন্দাদের প্রশ্ন করা হয় দোভাষীর বদলে জঙ্গিরা কেনও গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করছে না? উত্তরে বলা হয়, গুগল ট্রান্সলেটরে বহু ক্ষেত্রেই বেশকিছু ব্যকরণ গত ত্রুটি থাকে। যা এই জঙ্গি সংগঠনগুলি একেবারেই পছন্দ করে না।