হরিদ্বারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রবিবার সকালে মনসা দেবী মন্দিরে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। পুজো দিতে এসে পদপিষ্ট হয়ে যান একাধিক ভক্ত। জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত প্রায় ১৫ জন। আরও প্রাণহানি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন গাঢ়ওয়ালের ডিভিশন কমিশনার বিনয়শঙ্কর পাণ্ডে। ইতিমধ্যেই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন।
হরিদ্বারের স্থানীয় প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, মনসা পুজো দিতে এদিন অতিরিক্ত ভিড় জড়ো হয়েছিল ওই মন্দিরে। ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় মন্দির চত্বরে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে স্থানীয় পুলিশ আধিকারিক এবং প্রশাসনিক টিম। তৎপরতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলানো হচ্ছে। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টায় পুলিশ। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অনেকের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছিল তা সম্পূর্ণ ভুয়ো বলে জানিয়েছেন বিনয়শঙ্কর পাণ্ডে।
মুখ্যমন্ত্রীর দুঃখপ্রকাশ
ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি। তিনি বলেন, 'হরিদ্বারের মনসা দেবী মন্দিরে পদপিষ্টের ঘটনায় আমি গভীর ভাবে দুঃখিত। SDRF, স্থানীয় কর্মীরা এবং পুলিশ ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। উদ্ধারকাজ চলছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি প্রতি মুহূর্তে। ভক্তদের দ্রুত সুস্থতার জন্য আমি মাতা রানির কাছে প্রার্থনা করছি।'
চলতি বছরে আরও পদপিষ্টের ঘটনা
চলতি বছর ২৯ জুন রথযাত্রার সময়ে এমন ভাবেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে পুরীতে। ৩ ভক্তের মৃত্যু হয়। তার মধ্যে ছিলেন দুই মহিলা। আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন। পাশাপাশি উত্তর গোয়াতে চলতি বছরের ৩ মে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে একটি মন্দিরে। সেখানেও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আবার জানুয়ারি মাসের ৮ তারিখে তিরুপতি মন্দিরে বৈকুণ্ঠ একাদশীর টিকিট কিনতে মন্দির চত্বরে জড়ো হয়েছিলেন অসংখ্য মানুষ। ভিড়ে পদপিষ্ট হয়ে যান তাঁরা। ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেই ঘটনায়। আহত ছিলেন কমবেশি ২০ জন।