শনিবার ঝাড়খণ্ডের অনেক জায়গায় শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা মাপা হয়েছে ৪.৩। রাজধানী রাঁচি ও জামশেদপুরে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে সবাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। আপাতত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই।
শনিবার সকালে জামশেদপুরের কয়েকটি এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রাঁচির তামারেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। শনিবার সকালে হওয়া ভূমিকম্পে প্রায় পাঁচ সেকেন্ডের জন্য পৃথিবী কেঁপে ওঠে। চাইবাসার চক্রধরপুরেও ভূমিকম্পের পরে আতঙ্কে ঘর থেকে বেরিয়ে আসে মানুষজন।
ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ঝাড়খণ্ডের খারসাওয়ান জেলা থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে। শনিবার সকাল ৯টা ২০ মিনিটে এখানে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা মাপা হয়েছে ৪.৩। তবে এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কেন এবং কীভাবে ভূমিকম্প হয়?
বৈজ্ঞানিকভাবে বুঝতে হলে আমাদের পৃথিবীর গঠন বুঝতে হবে। পৃথিবী টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত। এর নীচে তরল লাভা রয়েছে এবং টেকটোনিক প্লেট তার উপর ভাসছে। কখনও কখনও এই প্লেটগুলির একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বারবার সংঘর্ষের ফলে প্লেটের কোণগুলো বেঁকে যায় এবং অতিরিক্ত চাপের কারণে এই প্লেটগুলো ভেঙে যেতে থাকে। এমন অবস্থায় নীচের শক্তি বেরিয়ে আসার পথ খুঁজে নেয়। যখন এটি একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, তখন ভূমিকম্প হয়।
রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প পরিমাপ করা হয়। রিখটার স্কেল হল ভূমিকম্পের তরঙ্গের তীব্রতা পরিমাপের একটি গাণিতিক স্কেল, একে বলা হয় রিখটার ম্যাগনিটিউড টেস্ট স্কেল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প মাপা হয় ১ থেকে ৯ পর্যন্ত স্কেলে তার কেন্দ্র অর্থাৎ কেন্দ্রস্থল থেকে। এই স্কেল ভূমিকম্পের সময় পৃথিবীর ভেতর থেকে নির্গত শক্তির উপর ভিত্তি করে তীব্রতা পরিমাপ করে।