
মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার একটি বেসরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির ভিতর থেকে ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি হাতে লেখা চিরকুট, যেখানে শিক্ষক দ্বারা মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আরতি সিং জানান, নোটবুকে লেখা চিরকুটে ছাত্রীটি অভিযোগ করেছে, শিক্ষক শাস্তির নামে তার আঙুলের ফাঁকে কলম চেপে দিতেন। জোর করে অত্যাচার করতেন। বেঞ্চে বসে থাকাকালীন তার হাত ধরে বলতেন, 'তোমার হাত কত ঠান্ডা।'
পরিবারের দাবি, মেয়েটি বাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই আচরণ করছিল। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে, স্কুলের কেউ তাকে 'নির্যাতন' করেছে এবং ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত, কল ডিটেলস ও স্কুল-সম্পর্কিত নথিপত্র খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে। এএসপি সিং জানান, আত্মহত্যার কারণ নির্ণয়ে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার রাজেন্দ্র প্লেস মেট্রো স্টেশন থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করে দশম শ্রেণির এক ছাত্র। পরিবারের দাবি, সে 'পরবর্তী শাহরুখ খান' হওয়ার স্বপ্ন দেখত। পাওয়া সুইসাইড নোটে সে মানসিক হয়রানির অভিযোগ করেছে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবং তাঁর অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
থানে জেলার কল্যাণে ১৯ বছর বয়সী এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। অভিযোগ, লোকাল ট্রেনে মারাঠি ভাষায় কথা না বলা নিয়ে একদল মানুষ তাকে মারধর করেছিল। বাড়ির অ্যাপার্টমেন্টে সে আত্মহত্যা করে।
মাসের শুরুতে জয়পুরের একটি বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ৯ বছরের এক ছাত্রীর। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, রেলিং থেকে প্রায় ৪৮ ফুট নিচে পড়ে যায় শিশু।
সিবিএসই তদন্তে উঠে এসেছে, ছাত্রীটি ১৮ মাস ধরে সহপাঠীদের হাতে নির্যাতনের শিকার। সহপাঠীরা অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করত। স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘটনার ব্যাপারে উদাসীন ছিল।
এই ধারাবাহিক ঘটনাগুলি শিক্ষা ব্যবস্থায় মানসিক নিরাপত্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক এবং স্কুলের দায়িত্ববোধ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরীক্ষার চাপ, বুলিং, শিক্ষক ও প্রশাসনের দুর্ব্যবহার, এবং মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার অভাবের কারণে ছাত্রছাত্রীরা বিপজ্জনক মানসিক অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে।