এক মহিলা আইপিএস অফিসারকে তাঁর প্রাক্তন স্বামী ও শ্বশুরের কাছে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কারণ, বৈবাহিক কলহের জেরে ওই অফিসার একাধিক মিথ্যা ফৌজদারি মামলা (ধারা ৪৯৮এ সহ) করেছিলেন, যার জেরে স্বামীকে ১০৯ দিন এবং শ্বশুরকে ১০৩ দিন কারাবাসে থাকতে হয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই. চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বিবাহবিচ্ছেদে অনুমোদন দিয়ে সমস্ত বকেয়া ফৌজদারি মামলা বাতিল করে। আট বছরের মেয়েকে মায়ের হেফাজতে দেওয়া হলেও বাবা ও তাঁর পরিবারের মেয়ের সঙ্গে দেখা করার অধিকার থাকবে। বেঞ্চ বলেছে, আইপিএস মহিলার স্বামী ১০৯ দিন এবং শ্বশুরমশাই ১০৩ দিন জেলবাস করেছেন। কারণ, ওই মহিলা তাঁদের বিরুদ্ধে ৪৯৮ এ ধারায় বেশ কয়েকটি ফৌজদারি মিথ্যা মামলা করেছিলেন। আদালতের মতে, স্বামী ও শ্বশুর যে দুর্ভোগ সহ্য করেছেন, তার কোনওভাবে ক্ষতিপূরণই হয় না।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী:
ওই মহিলা অফিসারকে একটি জাতীয় স্তরের ইংরেজি ও হিন্দি সংবাদপত্রে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার বিজ্ঞাপন ছাপাতে হবে। একইভাবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ইউটিউবেও সেই ক্ষমা প্রার্থনার পোস্ট দিতে হবে। রায় ঘোষণার তিন দিনের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে, এই ক্ষমা প্রার্থনাকে প্রাক্তন স্বামী যেন অপব্যবহার না করেন এবং সরকার যেন ওই অফিসারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ না নেয়। আদালতের নির্দেশের তিনদিনের মধ্যে ক্ষমা যেন ছাপা হয়, সে রায়ও দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।