Advertisement

Two-Finger Test Ban: টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট, মেডিক্যালের পাঠ্যক্রম থেকে সরানোর নির্দেশ

ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে নির্যাতিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট (Two-Finger Test) নিয়ে সোমবার কড়া মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত এই টেস্টকে ভুল বলে রায় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ২০১৩ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও টু ফিঙ্গার টেস্ট করা মানে যৌন নির্যাতনের শিকার কোনও মহিলাকে বারবার কষ্ট দেওয়া।

টু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্টটু ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ সুপ্রিম কোর্ট
Aajtak Bangla
  • নতুন দিল্লি,
  • 31 Oct 2022,
  • अपडेटेड 5:19 PM IST
  • ২০১৩ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় টু ফিঙ্গার টেস্টে
  • আদালত বলেছে, টু ফিঙ্গার টেস্টের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই

ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রে নির্যাতিতার টু ফিঙ্গার টেস্ট (Two-Finger Test) নিয়ে সোমবার কড়া মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। আদালত এই টেস্টকে ভুল বলে রায় দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে ২০১৩ সালে নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও টু ফিঙ্গার টেস্ট করা মানে যৌন নির্যাতনের শিকার কোনও মহিলাকে বারবার কষ্ট দেওয়া। এর কোনও আইনি ভিত্তি নেই। আদালত স্পষ্টভাবে বলেছে যে যারা টু ফিঙ্গার টেস্ট করবে এবং অংশগ্রহণ করবে, তারা অসদাচরণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবে।

পাশাপাশি মেডিক্যাল কলেজগুলিকেও (Medical Colleges) কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। পাঠ্যক্রম থেকে টু ফিঙ্গার টেস্ট সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালত বলেছে, টু ফিঙ্গার টেস্ট সমাজের পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার উপর ভিত্তি করে তৈরি।

নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে

আরও পড়ুন

আদালত কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে ধর্ষণের শিকার মহিলার সঙ্গে কী আচরণ করা উচিত সে সম্পর্কে একটি নির্দেশিকা জারি করা উচিত। একইসঙ্গে পুলিশ ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের এ ধরনের বিষয়ে আরও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন বলেও আদালত জোর দিয়েছে।

টু ফিঙ্গার টেস্ট কী?

এই পরীক্ষায় ধর্ষিতার গোপনাঙ্গে এক বা দুটি আঙুল ঢুকিয়ে তাঁর কুমারীত্ব পরীক্ষা করা হয়। ওই মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে কি না তা জানার জন্য এই পরীক্ষা করা হয়। যদি গোপনাঙ্গে উভয় আঙ্গুল সহজে নড়াচড়া করে, তবে মহিলা যৌন সক্রিয় বলে মনে করা হয় এবং এটি মহিলার কুমারী বা কুমারী না হওয়ার প্রমাণ হিসাবেও বিবেচিত হয়।

এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই

সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে বেঞ্চ বলেছে যে এই টেস্টের কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। তাই এটি করা উচিত নয়। পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের এ ধরনের বিষয়ে আরও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন বলেও জোর দেওয়া হয়েছে। না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

Advertisement

কেন মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট?

আসলে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট ধর্ষণের মামলায় এক যুবককে খালাস করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট ওই আদেশ বাতিল করে ওই ব্যক্তিকে অভিযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করেছে। এমনকি বলা হয়েছে যে টু ফিঙ্গার টেস্টের কোনও বৈজ্ঞানিক (Unscientific) ভিত্তি নেই। ২০২৩ সালেই এই পরীক্ষাকে অসাংবিধানিক বলেছিল শীর্ষ আদালত। তারপরও এটা চলতে থাকা ক্ষুব্ধ হয়েছে আদালত। টু ফিঙ্গার টেস্টকে ধর্ষিতার গোপনীয়তা লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছিল আদালত। বলা হয়, এই পরীক্ষার কারণে ভুক্তভোগী মহিলাকে বারবার শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement