Advertisement

Ashoka University Professor: 'সস্তার জনপ্রিয়তা', জামিন দিয়েও অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে মন্তব্য করে ফেঁসেছিলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খান মহমুদাবাদ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অধ্যাপক। বুধবার তাঁকে খানিক স্বস্তি দিল দেশের শীর্ষ আদালত। তবে ভর্ৎসনা করতেও ছাড়ল না সুপ্রিম কোর্ট।

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 21 May 2025,
  • अपडेटेड 1:50 PM IST
  • 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে মন্তব্য করে ফেঁসেছিলেন
  • অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপককে অন্তর্বর্তী জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট
  • তাঁর মন্তব্যের জন্য ভর্ৎসনা করল দেশের শীর্ষ আদালত

সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদ। 'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে মন্তব্যের জেরে গ্রেফতার হওয়া এই অধ্যাপককে বুধবার অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে তাঁকে ভর্ৎসনাও করল শীর্ষ আদালত। 

অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে, এটি একটি 'সস্তার জনপ্রিয়তা' পাওয়ার চেষ্টা এবং 'ডগ হুইসল'। অর্থাৎ কোনও কিছু বা কারও নাম না করে সেই বিষয়টিকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করা। 

সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, 'আবেদনকারীকে অবিলম্বে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হোক। তাঁর বিরুদ্ধে দু'টি আপত্তিকর অনলাইন পোস্ট করার অভিযোগ রয়েছে।' হরিয়ানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি SIT গঠন করতে বে সিনিয়র IPS অফিসারের নেতৃত্বে। তবে এই দলে হরিয়ানা কিংবা দিল্লির কোনও অফিসার থাকতে পারবেন না। টিমে রাখতে হবে এক মহিলা তদন্তকারীকে। 

'অপারেশন সিঁদুর' নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে মারাত্মক বিপাকে পড়েছিলেন হরিয়ানার অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। জানা গিয়েছে, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর তথা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান আলি খান মাহমুদাবাদকে গ্রেফতার করা হয় কর্নেল সোফিয়াকে অসম্মান প্রদর্শন করার অভিযোগে। BJP ইউথ উইংয়ের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের হয়েছিল। তারপরই পাকড়াও করা হয়ে অধ্যাপক আলি খান মাহমুদাবাদকে। 

হরিয়ানার মহিলা কমিশনও একটি নোটিশ পাঠায় তাঁকে। মহিলা কমিশনের পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে ডানপন্থীদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা নিয়ে টিপ্পনি করার অভিযোগ ওঠে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। 

কী মন্তব্য করেছিলেন অধ্যাপক?
অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান লিখেছিলেন,  'কর্নেল সোফিয়া কুরেশির মিডিয়া ব্রিফিং লোকদেখানো। যা আসলে দ্বিচারিতা ছাড়া কিছু নয়'।  অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের এই অধ্যাপকের প্রশ্ন ছিল, কর্নেল সোফিয়া কুরেশির প্রশংসা যাঁরা করছেন, তাঁরা কেন গণপিটুনি কিংবা বুলডোজার দিয়ে সম্পত্তি ধ্বংস করার বিষয়গুলিতে মুখ খোলেন না?'

অধ্যাপকের সাফাই
অধ্যাপকের যদিও বক্তব্য, তাঁর মন্তব্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। অধ্যাপক মাহমুদাবাদ বলেন, 'আমার মন্তব্যে কোথাও নারীবিদ্বেষ নেই। আমি বরং প্রশংসা করেছি যে একজন মুসলিম নারী অফিসারকে এমন গুরুত্বপূর্ণ ব্রিফিংয়ে সামিল করা হয়েছে। আমি শুধু বলতে চেয়েছি, এই অন্তর্ভুক্তির মানসিকতা যেন দেশের অন্যান্য মুসলিম নাগরিকদের প্রতিও দেখানো হয়।' এরপরই তিনি জামিন চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। 

Advertisement

অধ্যাপকের সমর্থনে সোচ্চার হয়েছিলেন দেশের বিরোধী দলগুলির একাধিক নেতা-নেত্রী।  

 

Read more!
Advertisement
Advertisement